ঝিনাইদহ সদরের বড় কামারকুন্ডু গ্রামের কাঠমিস্ত্রি হাসানুজ্জামানের দেড় বছর বয়সী শিশু মাহিম।দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ও ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে ভুগছে।তার নিষ্পাপ অবুঝ শিশুর চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন।কিন্তু চিকিৎসার মতো কোন অর্থ নেই।অসহায় পিতা সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে।পিতা হাসানুজ্জামান জানান,দেড় বছর আগে স্বাভাবিক ভাবে জন্ম গ্রহন করে ফাহিম।জন্মের ৫ মাস পর থেকে শিশুটি অস্বাভাবিক ভাবে প্রসাব করতে থাকে।এরপর ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে দেখালে চিকিৎসক জানায় তার একটি কিডনীতে সমস্যা হয়েছে।তারপর থেকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের চিকিৎসকের পরামর্শে চলতে থাকে চিকিৎসা।এর কিছুদিন পর থেকে শিশুটির মাথার এক পাশ ফোলা দেখেতে পায়।শিশু মাহিম রাতে ও দিনে প্রচুর কান্নাকাটি করতে থাকে।পরে তাকে ভালো চিকিৎসার জন্য যশোর শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ আবু বক্কর সিদ্দীককে দেখানো হয়।চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে জানান শিশুটি কিডনী ও ব্রেন টিউমারে ভুগছে।পরে তার পরামর্শে শিশু মাহিমকে নেওয়া হয় ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।সেখানে দেড় মাস চিকিৎসার পরে নিউরো সার্জারী বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ তরিকুল ইসলাম শিশুটির উন্নত চিকিৎসা ও অপারেশনের জন্য ভারতের ভেলর সিএমসি হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন।কিন্তু কাঠমিস্ত্রী বাবা দীর্ঘ একবছর ধরে সন্তানের চিকিৎসায় নিজের গচ্ছিত যা ছিলো সবকিছু বিক্রি করেছে।এখন আর তার পক্ষে চিকিৎসার ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছে না।নিজে কাঠমিস্ত্রীর কাজ করে দিনে মজুরী পান ৪’শ থেকে ৫’শ টাকা তা দিয়ে সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হয়। তারপর ভারতের নিয়ে অপারেশনের জন্য যে টাকা দরকার তা হতদরিদ্র কাঠমিস্ত্রীর নেই।এজন্য সন্তানকে বাচাঁতে হতদরিদ্র পিতার সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা বিকাশ নাম্বার ০১৯১৪-৬২২২০০, স্টান্ডার্ড ব্যাংক ঝিনাইদহ শাখা হিসাব নং- ০৯৯৩৩০০০৭০৬।