ইবির ছাত্রকে পেটালানে ছাত্রলীগ কর্মী; তদন্ত কমিটি গঠন
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। ক্লাস রুমের বেঞ্চে বসাকে কেন্দ্র করে ইবি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিবলী আলীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তার বন্ধু আসিফ আহমেদ শিমুল ও আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সাইফুল ইসলাম রিয়নের বিরুদ্ধে।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ সংলগ্ন চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। এতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
অভিযুক্তরা ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের কর্মী বাহিনী। বেপরোয়া হয়ে উঠতে শুরু করেছে ছাত্র লীগের নামধারী কিছু কর্মী।
ভুক্তভোগী শিবলী জানায়, ইবি ছাত্র লীগের কমিটি হওয়ার পূর্বে সে ইবির সাবেক ছাত্র লীগের নেতা মিজানুর রহমান লালন এর সাথে মেলা মেশা করতেন। কমিটি অনুমোদিত হওয়ার পর পদবঞ্চিত হন ছাত্র লীগ নেতা লালন। শিবলী জানায়, ছাত্র লীগের কমিটি ঘোষণার আগে তার বন্ধু শিমুল তাকে বেশ কয়েকবার সতর্ক করে বলে যে শিবলীর চলা ফেরা হচ্ছে না। ছাত্র লীগের কমিটিতে আরাফাত সভাপতি পদ পাওয়ার পরে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে নামধারী ছাত্রলীগ কর্মী শিমুল।
পরক্ষনে উক্ত ঘটনায় ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন, প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শিবলী। লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করে বলেন, শিমুলের মদদে রিয়নসহ ৫/৭ জন কোন কারণ ছাড়াই অতর্কিতভাবে আমাকে মারতে থাকেন। এ সময় আমার বন্ধুরা আমাকে উদ্ধার করে ও হাসপাতালে নিয়ে যায়। এমতাবস্থায় আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ঘটনায় তিনি অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। ভুক্তভোগী শিবলী আরো বলেন, আমি ক্লাসে বেঞ্চে বসে ছিলাম। এমতাবস্থায় শিমুল আমাকে উঠতে বলে। আমি উঠতে রাজি না হলে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে তারা আমাকে মারধর করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিমুল বলেন, এটি একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। এর সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। ঘটনার বিষয়ে রিয়ন সত্যতা শিকার করে বলেন, আমি ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। তখন শিমুল ও শিবলী এর মধ্যে বাকবিতণ্ডা দেখে তাদের থামাতে যায়। এ সময় অনিচ্ছাকৃত ভাবে ২/৩টা মেরেছি তাকে। দলবেধে মারার ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, অভিযোগপত্র পেয়ছি। ঘটনা পর্যবেক্ষণের জন্য সহকারী প্রক্টর ড. আমজাদ হোসেন ও অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলমকে সদস্য করে দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছি। তাদের প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে প্রশাসন পদক্ষেপ নিবে বলে জানান।