প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের ৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অনলাইন মার্কেটপ্লেস ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রোববার ২৭ জন ভুক্তভোগীর পক্ষে গ্রাহক মো. নাসিম প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানা পুলিশকে মামলা তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন-সোনিয়ার স্বামী মাসুকুর রহমান, ভাই বনানী থানার পরিদর্শক শেখ সোহেল রানা, খালু জায়েদুল ফিরোজ, প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্যাহ চৌধুরী, নাজনীন নাহার বিথী ওরফে বিথী আক্তার ও নাজমুল হাসান রাসেল।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর আত্মীয়। দেশের সম্ভাবনাময় খাত ই-কমার্সকে কলুষিত করার জন্য তারা গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাৎ করার হীন প্রয়াসে ই-অরেঞ্জ প্রতিষ্ঠা করে। চমকপ্রদ অফার দেওয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পণ্য সরবরাহের কথা বলে ২৭ জন গ্রাহকের কাছ থেকে ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯১ হাজার ৭৯ টাকা নেয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি পণ্য সরবরাহ না করে বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করে। পরে আসামিরা আত্মগোপন করেন। এর আগে গত ১৭ আগস্ট সকালে ই-অরেঞ্জের প্রতারণার শিকার গ্রাহক মো. তাহেরুল ইসলাম একটি মামলা করেন। ওইদিন দুপুরে সোনিয়া ও তার স্বামী আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত তা নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মামলার পরদিন তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোনিয়াসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন আদালত।
সূত্র: যুগান্তর