মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৪ অপরাহ্ন

একজনকে ৩ দিন, আরেক কিশোরীকে ৫ দিন ধর্ষণে যুবক গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৩১৫ বার পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর, ২০২১, ৬:৫৪ অপরাহ্ন

নেত্রকোনার মদনে এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণের পর আরেক তরুণীকে (২৬) পাঁচ দিন ধর্ষণ করে সুমন মিয়া (৩৫)। এ অভিযোগে ওই যুবককে আটক করেছে মদন থানা পুলিশ।

যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর মঙ্গলবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে সুমনকে আটক করা হয়।

গত ৩১ অক্টোবর যুগান্তরে তরুণীকে আটকে ৩ দিন ধর্ষণ, তাকে ছেড়ে আরেক কিশোরীকে ৫ দিন’ শিরোনামে অনলাইনে ও পরদিন পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সে ওই উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহের উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনার মামলার প্রস্তুতি চলছে।

পুলিশ, ভুক্তভোগী দুই পরিবার ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, দুই সন্তানের জনক সুমন মিয়া গত ১৭ অক্টোবর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের এক তরুণীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। তাকে ৩ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে কৌশলে ২১ অক্টোবর বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। ওই রাতেই আরেক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় লম্পট সুমন মিয়া।

ওই ছাত্রীর বাবা ২২ অক্টোবর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে স্থানীয় মাতবররা একাধিক সালিশ বৈঠক করেন। পরে সোমবার ২৫ অক্টোবর অভিযুক্ত সুমন মিয়ার কাছ থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে নিজ পরিবারের জিম্মায় দিয়ে দেন স্থানীয় মাতবররা।

অন্যদিকে রুদ্রশ্রী এলাকার তরুণী সুমন মিয়ার বিরুদ্ধে মদন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পৃথক দুটি অভিযোগে থানায় কোনো মামলা না হওয়ায় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে এলাকায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়, প্রশাসনও নড়েচড়ে বসে। পরে পুলিশ মঙ্গলবার সকালে সুমনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য সোহেল চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অপহরণ করায় স্কুলছাত্রীর বাবা সুমন মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। স্থানীয় মাতবররা সুমন মিয়ার কাছ থেকে ৫ দিন পর স্কুলছাত্রীকে তার নিজ পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেন। এছাড়া বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আরেক নারীকে বাড়িতে নিয়ে এসেছিল। সেই নারীও তার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এটা আইনি বিষয় তাই বেশি কিছু বলতে চাই না।

মদন থানার ওসি মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, মঙ্গলবার সকালে সুমন মিয়াকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার মামলার প্রস্তুতি চলছে।

নেত্রকোনার পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সি বলেন, যুগান্তরের সংবাদটি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

সূত্র: যুগান্তর


এ জাতীয় আরো খবর ....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Translate »
Translate »