মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৬ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়ায় আমিন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভুল রিপোর্টের কারণে ভুল চিকিৎসায় প্রাণ গেল এক শিক্ষার্থীর

নিজস্ব প্রতিবেদক / ২৯৫ বার পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২২, ৫:০৪ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়ায় আমিন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভুল রিপোর্টের কারণে ভুল চিকিৎসায় প্রাণ গেল এক শিক্ষার্থীর

রোগ নির্নয় ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন একটি উপাদান ল্যাবরেটরি টেষ্ট।আর এই টেষ্ট নিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলোর কারসাজির অভিযোগ দীর্ঘদিনের।প্রতিনিয়তই ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলোর ভূল রিপোর্টের কারনে ভূল চিকিৎসায় রোগীদের শারীরিক নানা জটিলতাসহ ঘটছে প্রানহানীর মতঘটনা।
কুষ্টিয়ায় গতকাল (শনিবার)  একটি বেসরকারি ডায়গনস্টিক সেন্টারের ভূল রিপোর্টের কারনে ভূল চিকিৎসায় প্রান হারিয়েছে ১৩ বছর বয়সী এক স্কুল শিক্ষার্থী(আজমীর)।


গত ২৩ অক্টোবর কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মাঝিলা গ্রামের আক্তার মন্ডল তার ১৩ বছর বয়সি ছেলে আজমিরের পেটেব্যাথার কারনেচিকিৎসা করাতে আসেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে । চিকিৎসক প্রাথমিকভাবে দেখে তাকে আল্ট্রসনো করার পরামর্শ দেন। তিনি ঐ দিনই তার ছেলেকে নিয়ে কুষ্টিয়ার আমিন ডায়গনস্টিক নামে একটি ডায়গনস্টিক সেন্টারে টেষ্ট করান। সেখানে রিপোর্ট আসে লিভারে ইনফেকসন হয়েছে। চিকিৎসক ঐ রিপোর্ট অনুসারে ওষুধ লিখে দেন।ওষুধ খাওয়ার পরেও কমেনা পেটের ব্যথা।
তাই২৬ অক্টোবর আবারও ছেলে আজমিরকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন আক্তার মন্ডল। ওষুধে পেটের ব্যথা না কমায়চিকিৎসকের সন্দেহ হয় টেষ্টের রিপোর্ট নিয়ে । তাই আবারও করাতে বলেন টেষ্ট। এখানে বাধে বিপত্তি। অন্য একটি ডায়গনস্টিক সেন্টারে টেষ্ট করালে রিপোর্ট আসে বাষ্টএ্যপেন্ডিসাইড।
তখন চিকিৎসক জরুরী ভিত্তিতে অপারেশনের পরামর্শ দেন। অপারেশন হয় কিন্তু বাচাঁনো যায়না আজমিরকে। টেষ্ট ভূলের কারনে ভূল চিকিৎসায় সন্তান হারানোকে মেনে নিতে পারছেনা পরিবার।

এবিষয়ে আজমীরে পিতা আক্তার মন্ডল বলেন, হাসপাতালে ডক্টর দেখিয়ে আমিন ডায়গনস্টিক থেকে রিপোর্ট করে আনি এবং রিপোর্ট দেখে ডক্টর ওষুধ দেই ।এবং সেই ভুল রিপোর্টার ওষুধ খেয়ে আমার ছেলে বেশি অসুস্থ হয়ে যায় ।আমি আবার হসপিটালে ডক্টর দেখায় ,তখন ডক্টর পুনরায় রিপোর্ট করাই এবং বলেন আগের রিপোর্ট টা ভুল ছিল ফলে রোগীর শরীর বেশি খারাপ হয়ে পড়ে।
এবিষয়ে ড.মাহফুজুর রহমান( চিকিৎসক,  কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল) বলেনঃ সঠিক ভাবে রোগ নির্নয়েরজন্য ল্যাবরেটরি টেষ্ট দেওয়া হয় রোগীদের। সেই অনুসারে দেওয়া হয় চিকিৎসা। তবে যদি রিপোর্ট ভূল হয় চিকিৎসার ক্ষেত্রে রোগীর সমস্যা হবেই।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ড. রাজিব মৈত্র (সহকারি রেজিষ্টার, মেডিসিন বিভাগ, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাপাতাল )বলেন ,ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলোতে দক্ষ টেকনিশিয়ান না থাকার কারনে ঘটছে এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা। বিষয়গুলো কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তারা।

এ বিষয়ে আমিন ডায়গনস্টিক সেন্টার এর কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে চাইলে কথা বলতে রাজি হন না তারা।

এ বিষয়ে সিভিলসার্জন ড. এইচ এম আনোয়ারুল বলেন, অভিযোগ পেলে অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ডায়গনস্টিক সেন্টারের ভূল রিপোর্টের কারনেই মৃত্যু হয়েছে আজমিরের এমনটাই বলছেন আজমিরের স্বজনেরা। টেষ্ট রিপোর্টের ক্ষেত্রে ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলোর কারসাজি বন্ধের দাবী তাদের।
ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোরচিকিৎসা সেবার নামে বানিজ্যকরন ও অব্যবস্থাপনা বন্ধে কারযকারি পদক্ষেপের দাবী সাধারন মানুষের।


এ জাতীয় আরো খবর ....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Translate »
Translate »