কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিনারায়নপুর ইউনিয়ন মাদকাসক্ত যুবক হীমেল কুমার বিশ্বাস(২৮) কর্তৃক প্রতিবেশী বিপ্লব কুমার সাহার শিশুপুত্র বর্ন কুমার সাহাকে(১১) নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত হিমেল হরিনারায়নপুর ইউনিয়নের বারোয়ারীতলা পূজা মন্দির এলাকার উত্তম কুমার বিশ্বাসের ছেলে। ইবি থানাধীন হরিনারায়নপুর রাশ মন্দিরের সামনে গত ৪ অক্টোবর আনুমানিক সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে নির্যাতিত শিশুর পিতা বাদী হয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, হিমেল দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। ইতিপূর্বে হিমেল ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে আটকও হয়েছে। নেশাগ্রস্ত ও উশৃংখল যুবক হিমেল কখনোই পরিবারের অভিভাবকদের আদেশ-উপদেশ কোনোটি মেনে চলেন না। এর আগেও অগনিতবার হীমেল নেশাগ্রস্ত হয়ে এলাকার বিভিন্ন বয়সের মানুষের উপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে আহত করেছে। গ্রাম্য সালিশে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে তাকে বেশ কয়েকবার সাবধান করে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। তারপরেও কোনভাবে থামানো যাচ্ছে না এই নেশাগ্রস্ত উৎশৃংখল যুবককে। অবাধে মাদক ব্যবসা, মাদক সেবন ও বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে এই হীমেল।
বাদী বিপ্লব কুমার সাহা’র লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিবাদী হীমেল আনুমানিক একমাস পূর্বে হরিনারায়নপুর রাশ মন্দিরের আঙ্গিনার ভিতরে তার প্রাইভেট রাখে। গত ইং ০৪/১০/২০২১ তারিখ সকাল অনুমান ০৯.৩০ ঘটিকার সময় আমার ছেলে বর্ণ কুমার সাহা (১১) হরিনারায়নপুর বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বাহির হয়ে ইবি থানাধীন হরিনারায়নপুর রাশ মন্দিরের সামনে পৌছাইলে বিবাদী আমার ছেলেকে ডেকে বারোয়ারী মন্দিরের ভিতরে রাখা গাড়ির পিছনের লাইট ভাঙ্গার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে থাকে। জিজ্ঞাসার একপর্যায়ে বিবাদী আমার ছেলেকে এলােপাতাড়ি ভাবে চড়-থাপ্পড় মারে। এলােপাতাড়ি মারের ফলে আমার ছেলের শরীরে বিভিন্ন স্থানে ফুলা জখম ও হাত ভেঙ্গে যাওয়ার মত হয়। আমার ছেলে চিৎকার করলে অাশপাশ ওপথচারী সাক্ষী ১। গনেশ বিশ্বাস (৪৮), পিতা-মৃত নরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, ২। গৌতম কুমার সাহা (৫২), পিতা-মৃত রাম গোপাল সাহা, উভয় সাং-হরিনারায়নপুর, থানা-ইবি, জেলা-কুষ্টিয়া সহ আরাে অনেকে এগিয়ে আসলে বিবাদী আমার ছেলেকে প্রান নাশের হুমকি সহ বিভিন্ন ভয়ভীতিদেখিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। আমি লােক মারফত মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আমার ছেলেকে নিয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করায়।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান রতনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগটি প্রক্রিয়াধীন আছে।