সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ০৯/০৩/২০১৪ হতে ১৪/১২/১৫ পর্যন্ত সময়ের প্রাপ্য টাইমস্কেল মঞ্জুরী প্রদানের বিষয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তিক জারীকৃত ০৩/০৬/২০২১ তারিখের ১৮৯ নং পত্রটি ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তিক জারীকৃত ১০/১১/২০২১ তারিখে ১১০৫ নং পত্রটি জরূরী ভিত্তিতে কার্যকর করার ১দফা দাবিতে কুষ্টিয়ায় জেলা প্রশাসকের নিকট প্রধানমন্ত্রী বরারবর স্মারকলিপি প্রদান করেন কুষ্টিয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টাইমস্কেল বঞ্চিত প্রধান শিক্ষকবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) বিকেল ৪ টার দিকে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম এর নিকট এই স্মারকলিপি প্রধান করেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকবৃন্দের টাইমস্কেল বঞ্চিত কুষ্টিয়া জেলা কমিটি।
স্মারকলিপিতে শিক্ষকবৃন্দরা উল্লেখ করেন শিক্ষকদের অবজ্ঞা, অবমূল্যায়ন করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বা মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন কি আদৌ সম্ভব? প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে শিক্ষকগণ বেতন বৈষম্যের নির্মম পরিণতির শিকার।সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের যে বেতন কাঠামো সেটা আমাদের প্রফেশনের পরিপন্থী ও মর্যাদার সাথে প্রহসন। শ্রেণীকক্ষে সফল পাঠদান নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক আদেশ দিয়ে নয় সন্তোষজনক বেতন অপরিহার্য।
এ বিষয়ে শিক্ষাপক্ষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন-“শিক্ষকদের ক্ষুদার্থ রেখে আমরা শ্রেণীকক্ষে ভাল পাঠদান আশা করতে পারি না”এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিব মহোদয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ দিলেও তার ইতিবাচক প্রতিফলন এখন পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছি না।
কিন্তু বিগত ১১ বছরেও তার কোন প্রতিফলন ঘটেনি।তাই আমাদের একটাই দাবী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত ১৮৯ নং পত্রটি ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক জারিকৃত ১১০৫ নং পত্রটি জরুরী ভিত্তিতে কার্যকর করে টাইমস্কেল প্রদানের ব্যবস্থা করা হোক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকবৃন্দের টাইমস্কেল বঞ্চিত কমিটির কুষ্টিয়া জেলা শাখার আহবায়ক রবিউল ইসলাম,যুগ্ম আহবায়ক সানাউল্লাহ, সদস্য সচিব শামছুল আলম, সদস্য মঞ্জুরা খাতুন, সদস্য মিজানুর রহমান, সদস্য আসাদ উল্লাহ সহ বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ।