রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩২ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়া দৌলতপুরে প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে অবৈধ বালি উত্তোলনে চলছে মহোৎসব।

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৪১৪ বার পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : বুধবার, ৬ অক্টোবর, ২০২১, ৫:২৬ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে পদ্মা নদীর কোল ঘেঁষে বয়ে চলা দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচর ও কলদিয়ারের নিচে পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের মহোৎসব চলছে।

স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল প্রতিদিন অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বৈরাগীরচর ও কোলদিয়ারেরে নিচে পদ্মা নদী থেকে প্রতিদিন শত,শত, ট্রলি বালি উত্তোলন করা হচ্ছে।

এরফলে হুমকির মুখে পড়তে হবে রায়টা-মহিষকুন্ডি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। সেই সাথে ধস নামার সম্ভাবনা রয়েছে ফিলিপনগর-ইসলামপুর ব্লক দিয়ে নির্মিত স্থায়ী বাঁধে।

এলাকাবাসী সূত্র জানিয়েছে, বৈরাগীরচর ও কলদিয়ার এলাকার ক্যাডার বাহিনী সহ স্থানীয় প্রভাবশালী ও সরকার দলীয় লোকজন এ বালি উত্তোলনের সাথে জড়িত আছেন।

বালি উত্তোলনের বিষয়ে কেউ মুখ খুললেই তাদের বিরুদ্ধে নেমে আসে জুলুম ও অত্যাচারের ঝড় এবং দেয়া হয় নানা ধরনের হুমকি।

গত বছরে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলনের দায়ে জেল জরিমানা ভোগ কারী বৈরাগীরচর এলাকার তছিকুল ইসলাম আবারো নতুন উদ্যমে নির্বিঘ্নে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করছেন তিনি।

বালি উত্তোলনে চাঁদা আদায়কারী ওই মহল প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বালি উত্তোলন করছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার কয়েকজন জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে বালি নিতে আসার ট্রলি চালকরা, বলেন ট্রলি প্রতি ২০০ টাকা চাঁদা দিতে হয় ওই প্রভাবশালী মহলকে। এতে প্রতি মাসে কমপক্ষে অর্ধকোটি টাকা চাঁদা আদায় করে থাকে ওই প্রভাবশালী মহল।

এ বিষয়ে বালি উত্তোলন কারবারিদের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা ক্যামেরার সামনে কথা বলতে নারাজ, গোপনে ধারণ করা ক্যামেরায় কিছু প্রভাবশালী নেতাদের নাম উঠে এসেছে, বালু উত্তোলন কারী আতিক এর মুখ থেকে, তবে এ ব্যাপারে আতিকের কাছে আরো জানতে চাইলে তখন বলেন, আমাকে চেনেন? আমি চৌধুরীর ভাতিজা, আর একজন নেতার নাম বলে, ভাই পরিচয়দেন তিনি, তবে এ বিষয়ে নেতাদের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে নেতারা বলেন আতিক নামের কাউকে আমি চিনিনা, আমাদের নাম ভাঙ্গিয়ে এভাবেই চলছে রমরমা বালির ব্যবসা ও অবৈধ বালি উত্তোলন কাজ।

তবে দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট গতবছর পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও থেমে নেই এবছর, ওই প্রভাবশালী মহলের অবৈধভাবে পদ্মা নদীর তীরবর্তী ও বসতি এলাকায় অবৈধভাবে বালি উত্তোনের কাজ। প্রশাসনের অভিযান তেমন না হওয়ার কারণে বালি উত্তোলনকারী ওই মহলটি অবাঁধে ও নির্বিগ্নে বালি উত্তোলনের কাজটি করে যাচ্ছে।

এদিকে নদী তীরবর্তী ভুক্তভোগী এলাকাবাসী অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।

প্রভাবশালী মহলের বালি উত্তোলনের বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজ শাহীন খসরু, বলেন, আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্বে¡ আছি ৩ থেকে ৪ দিন আমার কাছে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য আসেনি আমি এখানে নতুন এসেছি সহকারী কমিশনার ভূমি হিসেবে, মাঝে পানি বাড়তেছিল এ সময় কোনো বালি মহল ছিলোনা এ সম্পর্কে আমি জানি কারন আমি নিজে পারসোনালি ভাবে কিছুদিন আগে ঘুরে এসে দেখেছি বালি তখন পানির নিচে তখন বালি তোলার কোন অপশন ছিল না, তবে আজকে যে আমি তথ্য পেলাম এ সম্পর্কে আমরা খতিয়ে দেখে যদি আইনের ব্যত্যয় লক্ষ্য করি তাহলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করব।


এ জাতীয় আরো খবর ....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Translate »
Translate »