সোমবার ২৬ জুলাই কুষ্টিয়ার পৌর কাচা বাজারসহ মুদি দোকানে প্রচন্ড মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা গেছে। এই জনসমাগমে মাত্র তিন ঘন্টায় কুষ্টিয়া পৌর বাজারে সমস্ত সবজি উধাও হয়ে যায়। পৌর বাজার সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মহাদয়ের নির্দেশে সকল কাঁচা বাজার ওদৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান সপ্তাহে ৩ দিন যথাক্রমে শুক্র, সোমবার ও বুধবার খোলা থাকবে। মানুষ সপ্তাহে তিনদিন তাদের শুকনো খাবার ও কাচা সবজির চাহিদা মেটাতে বাজারমূখী হচ্ছে। এছাড়া বাজার ঘুরে জানা যায়, কুষ্টিয়ায় সপ্তাহে ৪ দিন বাজার বন্ধের সিদ্ধান্তের কারণে কৃষক ব্যাপারী সবাই কাচা সবজি কম আমদানী করছে।যা কুষ্টিয়ার মানুষের চাহিদা তুলনায় খুব সামান্য। এ কারনে দাম বেশি ও সবজি সংকট দেখা দিচ্ছে।
বাজার করতে আসা কয়েকজন ক্রেতার সাথে আলাপকালে তারা জানান, বাজার চারদিন বন্ধ করেছে প্রশাসন। যার কারনে যতো ভিড় হোক খেয়ে বেচে থাকার জন্য বাজার করতে এসেছি। যদি বাজার প্রতিদিন কিছু সময় খোলা রাখতো তবে আজ না আসলোও চলতো। আসলে আমাদের মনে হয় প্রশাসন এটা ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। হয়তো যার মূল্য আমাদের দিতে হচ্ছে।
বাজারের কয়েক জন ব্যবসায়ীর সাথে আলাপকালে তারা জানান, আমরা কি করতে পারি। কৃষক বাজার বন্ধের কারনে কুষ্টিয়ার বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। যার কারনে কুষ্টিয়াতে খাদ্য সংকট তৈরি হচ্ছে। যা সামনের দিনগুলো আরো ভয়াবহ হতে পারে। তারপরেও সরকারী সিদ্ধান্ত আমাদের মানতে হবে।কিন্তু দুঃখ হলো কাঁচা বাজার বন্ধ করার আগের প্রশাসনের তরফ থেকে আমাদের সাথে কোন প্রকার আলাপ করা হয়নি।
সার্বিক বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মহাদয়ের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, করোনা প্রতিরোধ বিষয়ক কমিটি সাথে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাছাড়া ব্যবসায়ীক সংগঠনের সাথে আলাপ করে ছিলাম। তাদের মতামতের ভিত্তিতে এধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারপরে প্রয়োজনে আমি আবার তাদের সাথে বসবে। এ সব বিষয়ে বাজারে আসা বেশ কয়েকজন ক্রেতা দাবী করে বলেছেন, সপ্তাহে তিনদিন বাজার থাকলে এ অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে বাজার সম্পাহে তিন দিনের পরিবর্তে ৫ দিন করতে হবে। তা হলে সবজি, মাছ, চাল, ডালের মুল্য নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সাধারণ নিন্মবিত্ত আয়ের মানুষ উপকৃত হবেন।