কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার জানিপুর ইউনিয়নের শেখপাড়া বিহারিয়া গ্রামে নির্বাচনের প্রতিহিংসার জের ধরে কৃষক আলিফ সেখ (৩২) কে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। আলিফ শেখ বিহারিয়া গ্রামের আছের আলী শেখের ছেলে।
এ বিষয়ে সরোজমিনে জানতে গেলে আলিফ সেখ বলেন আতঙ্কিত ভাবে ৪/৫ জন মিলে আমাকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন একই এলাকার রমজান খার ছেলে রহিম খা(৩০),সবুর মণ্ডলের ছেলে কাউসার (৩৫) ,করিম মণ্ডলের ছেলে মোলাম মন্ডল (৩৮),খালেকের ছেলে খাইরুল শেখ ৩৫) সবাই মিলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আতঙ্কিত ভাবে আমার উপর হামলা করে। আমি চিৎকার দিলে আমার স্ত্রী ও স্থানীয়রা আমাকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে খোকসা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক বলেন রুগীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তিনি এখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। সে সময় আলিফের শয্যার পাশে থেকে জানিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হবিবর রহমান হবি বলেন আমার সমর্থকেরা নৌকা মার্কায় ভোট করার অপরাধে প্রতিনিয়ত আমার কর্মীদেরকে বিভিন্নভাবে বাড়িঘর ভাঙচুর ও তাদের কে মারধর করছেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মজিবর রহমান মজিদের সমর্থকরা। আমি সহ আমার কর্মীরা এলাকায় আতঙ্কে আছি। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন নির্বাচনি পরবর্তীতে ১১ টি মামলা করা হয়েছে। এখন আর আমি কার কাছে কি বলবো এভাবে নৌকায় ভোট করাতে নির্যাতিত হচ্ছি। তাই আমি আর দলই করব কিনা এটা নিয়েও আমার চিন্তা রয়েছে ।
এ বিষয়ে করিম মণ্ডলের ছেলে মোলাম বলেন সকাল বেলা আমার নিজ পিয়াজের জমিতে কাজ করতে গেলে আলিফ আমার সাথে বাকবিতর্কে জড়িয়ে পড়ার একপর্যায়ে দু-জনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। প্রথমে আলিফের হাতে থাকা টেঙী দিয়ে আমার পায়ের উপর কোপ দিলে আমি চিৎকার করলে আমার ভাই ভাস্তেরা দৌড়ে এসে আলিফের হাত থেকে আমাকে উদ্ধার করে।
রমজানের ছেলে রহিম খা বলেন আমার চাচাকে যখন মেরেছে আমরা পরবর্তী তাকে মারধোর করেছি।
এ বিষয়ে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মজিবর রহমান মজিদ বলেন ঘটনাটি সত্য, আমি হসপিটালে গিয়েছিলাম। দোষীদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে এবং আমার ইউনিয়নে আমি শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করব।
এ বিষয়ে খোকসা থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আশিকুর রহমানের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং বলেন ঘটনাস্থলে আমার দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার গিয়েছিল। বিষয়টি আমাদের নখদর্পণে রয়েছে।
মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।