এক সময়ের সক্রিয় ছাত্রশিবিরের কর্মী মামুন হাসান সুরুজ এখন মনোহরদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের শীর্ষ পদ পেতে মরিয়া।সুত্র জানায় ছাত্রজীবনের শুরু তে মামুন হাসান সুরুজ ছাত্রশিবিরের রাজনীতি শুরু করে,ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একসময়ের শিবিরের নেতা আনিস(সুরুজের চাচাতো ভাই) এর হাত ধরেই শিবিরের রাজনীতির হাতেখড়ি সুরুজের। পরে কর্মসংস্থানের জন্য প্রবাসে গেলেও সেখানে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছাত্রশিবির ও যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে শিবিরের রাজনীতিতে সরব ছিলেন সুরুজ। তবে প্রবাস থেকে দেশে ফিরে হটাৎ ছাত্রলীগের প্রচার প্রচারণা করতে থাকে এই সুরুজ। ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতার সাথে ছবি তুলে তা পোস্ট করে ফেসবুকে, এ ধরনের৷ একাধিক স্ক্রিনশট প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।তবে সব অস্বীকার করে সুরুজ বলেন আমার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে তাই আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি করি এছাড়া তিনি মনোহরদিয়ে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের পদ প্রত্যাশী দাবি করেন।
এছাড়া মামুন হাসান সুরুজের নামে একাধিক নারী কেলেংকারীর অভিযোগও রয়েছে, গত জুন মাসের ২৯ তারিখে ইউনিয়নের একটি বাড়িতে মেয়ের সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়লে সেখান থেকে উত্তম মাধ্যম খেয়ে পালিয়ে যায়। এ সংক্রান্ত একটা ভিডিও ক্লিপ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।
তবে সাবেক ছাত্র শিবিরের রাজনীতি করা সুরুজ কিভাবে কার হাত ধরে বা কারাই বা তাকে ছাত্রলীগের রাজনীতি করা পথ দেখিয়ে দিয়েছে তা নিয়ে চলছে গুঞ্জন।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ জানান কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের কোন ইউনিটে অনুপ্রবেশকারীদের যায়গা নেই।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক নেতা জানান যদি কোন ইউনিটে অনুপ্রবেশকারির কেও পদে আসে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।