কুষ্টিয়া:
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া মহাবিদ্যালয়ে একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।
দিনটি উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারি সুর্যদয়ের প্রথম প্রহরে বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়। এসময় মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ নুরজাহান শারমীন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মহাবিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি প্রকৌশলী ফারুকউজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ঝাউদিয়া ক্যাম্প ইনচার্জ কবির হোসেন সহ সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থীবৃন্দ।
শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর আগে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে লাল সবুজের পতাকা উত্তলন করেন। পরে মহাবিদ্যালয়ের হলরুমে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি প্রকৌশলী ফারুকউজ্জামান বলেন, ১৯৫২ সালের এদিনে ‘বাংলাকে’ রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাংলার (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ছাত্র ও যুবসমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ সে সময়ের শাসকগোষ্ঠীর চোখ-রাঙ্গানি ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসে। তিনি আরো বলেন, মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দুর্বার গতি পাকিস্তানি শাসকদের শংকিত করে তোলায় সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিক গুলিবিদ্ধ হয়ে অনেকে শহীদ হন। আজ আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। তিনি উল্লেখ করে বলেন, বাংলার বুকে বাঙালি জাতিকে মাথা উচু করে দাড়াতে শিখিয়েছেন স্বাধীনতার মহানস্থপতি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা স্বাধীনতা পেতাম না। বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারতাম না। আজ সেই নেতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নত অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে। তারই রুপরেখা হিসেবে কুষ্টিয়ার উন্নয়ন করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা ঝাউদিয়া মহাবিদ্যালয়ে চার তলা ভবন পেয়েছি। একদিন বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।