“মরণের আগে মরো,সমনকে শান্ত করো,যদি তাই করতে পারো,ভবো পারে যাবি মন রসনা”এই মর্ম বানীর কবি ঝিনাইদহের মরমী কবি পাগলা কানাইয়ের ২১২ তম জন্ম বাষিকী উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার বেড়বাড়ি গ্রামে পাঁচ দিন ব্যাপি অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। ঝিনাইদহে পাগলা কানাই স্মৃতি সংরক্ষণ সংসদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।বৃহস্পতিবার সকালে পাগলাকানাই ইউনিয়নের বেড়বাড়ী গ্রামে কবির মাজারে পুস্প মাল্য অর্পণের মধ্যে দিয়ে দিনে কর্মসূচী শুরু হয়।জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম কবির মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।এ সময় জেলা পরিষদের নির্বাহী রেজাই রাফিন সরকার,সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম শাহীনসহ ঝিনাইদহ জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং অসংখ্য কানাই ভক্ত উপস্থিত ছিলেন।জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম বলেন,পাগলাকানাই ছিলেন দেশের গৌরব ও অহংকার।তার গানে রয়েছে সুফিবাদ ও আধ্যাত্মিক সাধনার মর্মবানী।তিনি ছিলেন ধর্ম বর্ণ সব শ্রেণীর মানুষের উর্ধ্বে থাকা এক প্রাণ পুরুষ।কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে লাঠিখেলা, ধুয়া-জারী গান,আলোচনা অনুষ্ঠান, মরমী কবি পাগলা কানাইয়ের গান পরিবেশন ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা।
পাগলাকানাই স্মৃতি সংরক্ষণ সংসদেও সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আব্দুর রশিদ জানান,মরমী কবির জন্ম বার্ষিকীর অনুষ্ঠানটি স্মরনীয় করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।উল্লখ্য পাগলাকানাই ইংরেজী ১৮৮৯ সালের জুলাই ও বাংলা ১২৯৬ সালের ২৮ আষাঢ় তিনি ওফাত লাভ করেন।