বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন

ঝিনাইদহে অতিদরিদ্রদের ৪০ দিনের কর্মসূচিতে শ্রমিকদের সীমকার্ড চেয়ারম্যান,মেম্বর এর কাছে রাখার অভিযোগ!

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৩০৯ বার পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০২২, ৯:৩৫ অপরাহ্ন

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ৪নং হলিধানী ইউনিয়নে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান ৪০ দিনের প্রকল্প কর্মসূচিতে শ্রমিকদের সীমকার্ড চেয়ারম্যান,মেম্বর এর কাছে রাখার অভিযোগ করেছে শ্রমিকরা।শ্রমিকদের মজুরির টাকা আসবে নিজ নিজ মোবাইল সীমকার্ড ব্যাংকিং নগদ/বিকাশে,কিন্তু সে সীমকার্ড শ্রমিকদের কাছ থেকে নিয়ে রেখে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে চেয়ারম্যান ও মেম্বরের বিরুদ্ধে।কর্মসূচির কাজ নিঃসন্দেহে ভালো হচ্ছে,কিন্তু যে শ্রমিকগুলো কাজ করছে তাদের কপাল পুড়িয়ে দিচ্ছেন এই শ্রমিকদের ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান মেম্বর।শ্রমিকদের টাকা যাতে নয় ছয় না হয়!এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে তাদের টাকা দিয়া হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকি নগদ/ বিকাশের মাধ্যমে,কিন্তু সরকার ভালো ভালো উদ্যোগ নিয়ে কি করবে,কিছু জনপ্রতিনিধিরা তো সরকারের ভাল দিক ঠিক রাখতে চায় না!শ্রমিকদের সীমকার্ড জনপ্রতিনিধিদের কাছে আছে কিনা সত্যতা জানতে সংবাদকর্মীরা যান ০৪ নং হলিধানী ইউনিয়নের ০৭ নং ওয়ার্ডের রামচন্দ্রপুর গ্রামে।সরেজমিনে যেয়ে কর্মরত শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়,তারা সবাই নিজেদের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি,ছবি,নিয়ে সীমকার্ড তুলে নিজ নিজ ওয়ার্ডের মেম্বরদের কাছে জমা দেয় ও একটি কাগজে টিপসই দেয়,পরবর্তীতে এই সীমকার্ড আর ফেরত পায়নি।কর্মরত শ্রমিকরা আরো জানান তাদের প্রতিদিন জন প্রতি ৪০০/=(চারশত টাকা) টাকা দেওয়ায় কথা থাকলেও গত ২৬ দিন কাজ করে তারা পেয়েছে কেউ ৩৬০০/= ও কেউ ৩২০০/= টাকা।আপনাদের সীমকার্ড কি আপনারা চেয়ারম্যান মেম্বরের কাছে চেয়েছেন,জানতে চাইলে শ্রমিকরা বলেন আমরা চেয়েছি কিন্তু আমাদের মেম্বর দেইনি।এ সম্মন্ধে জানতে চাইলে ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য (মেম্বর) মালা খাতুন জানান এই সীমকার্ড আমি শ্রমিকদের হাতে দিয়ে দিয়েছিলাম,কিন্তু পরে মেম্বর সীমকার্ড নিয়ে নেয়।০৪ নং হলিধানী ইউনিয়নের ০৭নং ওয়ার্ডের মেম্বর মোঃ শহিদুল ইসলাম এর জানতে চাইলে তিনি বলেন এসব বিষয়ে চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলুন।হলিধানী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ শওকত আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন সীমকার্ড আমার কাছে আসার সাথে সাথে শ্রমিকদের দিয়ে দিয়েছি।এ বিষয়ে ০৪ নং হলিধানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ্যাড.এনামুল হক নিলু’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন শ্রমিকদের এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ‘র কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান সীমকার্ড অবশ্যই কর্মরতরত শ্রমিকদের কাছে থাকবে।তিনি আরো বলেন শ্রমিকদের মোবাইল ব্যাংকি একাউন্টের সীমকার্ড ইউনিয়ন পরিষদে রাখার কোন নিয়ম নাই।বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো।


এ জাতীয় আরো খবর ....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Translate »
Translate »