মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৯ অপরাহ্ন

দৌলতপুরে পদ্মার চরে মাসকলাই চাষে সাফল্য

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৩৫৫ বার পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:২০ অপরাহ্ন

দৌলতপুরে পদ্মার চরে মাসকলাই চাষ করে এ বছরও ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন চাষিরা । ফলন ভালো হওয়ায় কাটা-মাড়াই শেষে ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা । কম খরচ ও অল্প পরিশ্রমে ডাল জাতীয় এ অর্থকরি ফসল চাষ করে আর্থিক সচ্ছলতা ফিরেছে দরিদ্র চরবাসির ।

কুষ্টিয়ায় চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ২৫৬ হেক্টর জমিতে মাসকলাই চাষ হয়েছে। এরমধ্যে পদ্মা নদী বিধৌত দৌলতপুরের বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে চাষ হয়েছে ২ হাজার ৪২৩ হেক্টর জমিতে । বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে মাত্র দেড় থেকে দুই হাজার টাকা । ফলন হচ্ছে ২-৩ মন হারে । বিনা পরিশ্রমে মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে খরচ বাদ দিয়ে ৩ হাজার টাকা মন দরে বিক্রয় করে চাষিদের লাভ হচ্ছে বিঘা প্রতি ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা । যা স্বপ্লকালীন অন্যান্য ফসলের চেয়ে বেশি ।

দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মুন্সিগঞ্জ গ্রামের মাসকলাই চাষি আব্দুল জাব্বার জানান, এবছর তিনি পদ্মার চরে ৫বিঘা জমিতে মাসকলাই চাষ করেছিলেন । খরচ হয়েছিল মাত্র ৭হাজার টাকার মত । ৫ বিঘা জমিতে ১৫মন কালাই পেয়েছেন । ৩ হাজার টাকা মন হিসেবে বিক্রি করলেও তার ৪৫হাজার টাকা আয় হবে । যা অল্প সময়ে বিনা পরিশ্রমে এবং কম খরচে অন্যান্য ফসরের চেয়ে লাভজনক ।

এদিকে চাষিদের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা মন দরে মাসকলাই কিনে অড়ত বা পাইকার ব্যবসায়ীদের কাছে ৩ হাজার ২০০টাকা টাকা দরে বিক্রি করে চাষিদের পাশাপাশি খুচরা ব্যবসায়ীরাও লাভবান হচ্ছেন । তবে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি কলাই এখন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০টাকা দরে । অর্থকরি এ ফসল চাষ বৃদ্ধিতে চরবাসীর জন্য প্রয়োজন কৃষি বিভাগের পরামর্শ, প্রণোদনা ও পৃষ্ঠপোষকতার ।

তবে কৃষি বিভাগের পরামর্শের পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আধুনিক ও উচ্চফলনশীল জাতের মাসকলাই বীজ সরবরাহ ও প্রয়োজনীয় প্রণোদনা দেয়ায় এবছর মাসকলাই চাষে ভালো ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম ।

অনাবাদী পদ্মার চরে অর্থকরি ফসল মাসকলাই চাষ বৃদ্ধি পেলে দেশের ডালের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা ।


এ জাতীয় আরো খবর ....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Translate »
Translate »