কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রতিবন্ধী, বিধবা ও বয়স্ক ভাতার টাকা না পেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা।
মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের পুরাতন আমদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ওই গ্রামের ভাতার কার্ডের টাকা বঞ্চিত শতাধিক ভুক্তভোগী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, আমরা বিধবা বয়স্ক ও প্রতিবন্ধি ভাতা ভোগীরা গত বছরের ডিসেম্বর মাসে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর/২০২০ পর্যন্ত ভাতার টাকা ব্যাংক থেকে পেয়েছি। তার পর জানতে পারি আমাদের ভাতার টাকা মোবাইলে ম্যাসেজের মাধ্যমে আসবে। কিন্তু এক বছর হতে চললো আর ম্যাসেজ আসেনা।
আমরা অনেকে গ্রামের দোকানে ঋণ করে জীবন ধারণ করে থাকি, ভাতার টাকা আসলে সেটা পরিশোধ করি। কিন্তু এখন টাকা না পওয়ায় আমাদের আর কেহ ধার দেনা দিচ্ছে না। এ নিয়ে চরম হতাশায় ও মানবেতর জীবন যাপন করছে ভাতা ভোগী এসব অসহায় মানুষ।
এদিকে সমাজ সেবা অফিসের মাধ্যমে এসব অসহায় ভাতা ভোগীরা জানতে পারে তাদের কার্ডের টাকা বিভিন্ন মোবাইলে চলে গেছে। তবে সমাজ সেবা অফিস থেকে ভুল নম্বর গুলি তাদের কার্ডে লিখে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ঐ ভুক্তভোগীরা।
তারা বলেন, আমরা ঐ নম্বরে যোগাযোগ করেলে বন্ধ পায়, কিছু কিছু নম্বর চালু থাকলেও টাকা তো দুরের কথা তারা সঠিক ঠিকানা দিচ্ছে না। তাই তাদের এ বিষয় নিয়ে নানা রকম সমস্যা ও জটিলতা দেখা দিয়েছে এবং গত বছরের সহ আগামীতে টাকা পাওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা আমরা পাচ্ছি না। গত বছরের টাকা পাওয়ার জন্য থানায় অভিযোগ করতে গেলে থানা অভিযোগ গ্রহণ করেনি।
কার্ড ধারীরা বলেন, আমরা এ মহল্লায় প্রায় ১০০ কার্ডধারী, যে মোবাইল নম্বর গুলিতে টাকা গিয়েছে, সে নম্বর গুলি আমাদের না, এ নম্বর গুলি কে, কারা তাদের স্বার্থে লিখে দিয়েছে ? আমরা আপনাদের মাধ্যমে জানতে চাই। আমরা অসহায় আমাদের বিগত দিনের টাকা উদ্ধারসহ আগামীতে টাকা নিজ নিজ কার্ডে ও নিজ মোবাইলে পেতে চাই, এর জন্য আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি এবং মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে গরীবের টাকা আত্বসাত কারীর বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে পিয়ারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ লালু বলেন, এই টাকা গুলি সমাজ সেবা অফিসের মাঠ পর্যায়ের কিছু অসাধু কর্মচারীর যোগসাজোশে আত্বসাত হয়েছে, তারা বিভিন্ন ইউনিয়নে গরীব অসহায় মানুষের কোটি কোটি টাকা আত্বসাত করেছে, সঠিক তদন্ত হউক, কে এর জন্য দায়ী। আমাদের কোন মেম্বর যদি জড়িত থাকে তাদের আইনের আওতায় আনা হউক।
দৌলতপুর সমাজ সেবা অফিসার আতাউর রহমানের কাছে এ ব্যাপারে জানতে তার মোবাইল ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।