মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৫ অপরাহ্ন

ধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক / ২৬৩ বার পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ, ২০২২, ৭:৩১ অপরাহ্ন

সুনামগঞ্জে অপহরণ ও ধর্ষণের অপরাধে ৫টি পৃথক মামলায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন এ রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রিপন মিয়া, রুকন মিয়া, শাহিন মিয়া, শৈলেন দাস ও আসাদ মিয়া।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে সুনামগঞ্জের সদর উপজেলার তেরাপুর গ্রামে ফুফাতো ভাইয়ের কাছে ধর্ষণের শিকার হন এক নারী। সেই মামলায় ভিকটিমের ফুফাতো ভাই রিপন মিয়াকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং জরিমানার ১ লাখ টাকা ভিকটিমকে পরিশোধ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ধর্মপাশা উপজেলায় নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে মামলায় রুকন মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অপর আসামি জজ মিয়াকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায় আরও ২ মাসের জেল দিয়েছেন আদালত।

জগন্নাথপুর উপজেলার হাড়গ্রামস্থ এলাকায় ২০০৯ সালে চাচার হাতে ভাতিজি ধর্ষণের ঘটনায় চাচা শাহিন মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদয়ে ২ মাসের অতিরিক্ত কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

২০১৩ সালে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইছাগরি গ্রামে প্রাইভেট পড়ানোর নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক শৈলেন দাসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া ২০১৫ সালে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার আমড়িয়া গ্রামে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করার মামলায় আসাদ মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ২ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর নান্টু রায় বলেন, আদালত আজকে অপহরণ ও ধর্ষণের অপরাধে ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। এ ধরনের দৃষ্টান্তমূলক রায়ের ফলে দেশে ধর্ষণের প্রবণতা কমে আসবে বলে মনে করি।

সূত্রঃ যুগান্তর


এ জাতীয় আরো খবর ....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Translate »
Translate »