সৌদি আবর পাঠানোর কথা বলে ভাতিজি সাথী আক্তারের কাছ থেকে প্রতারণা করে চাচা জাকির হোসেন হাওলাদার ৬০ হাজার টাকা নেন। বিদেশ না পাঠিয়ে ওই টাকা মেরে দেন চাচা। এ টাকা চাইতে গেলে চাচা জাকির হোসেন ভাতিজিকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন সাথী।
গুরুতর আহত সাথীকে স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন। ঘটনা ঘটেছে শনিবার সকালে আমতলী উপজেলার হরিমৃত্যুঞ্জয় গ্রামে।
জানা গেছে, উপজেলার হরিমৃত্যুঞ্জয় গ্রামের স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়া এক সন্তানের জননী মোসা. সাথী আক্তারকে সৌদি আরব পাঠানোর কথা বলে চাচা জাকির হোসেন হাওলাদার গত এক বছর আগে ৬০ হাজার টাকা নেন। ওই টাকা চাচা জাকির হোসেন মেরে দিয়েছেন- এমন অভিযোগ সাথী আক্তারের। ভাতিজিকে বিদেশ না পাঠিয়ে ঘুরাতে থাকেন চাচা।
শনিবার সকালে এ টাকা চাচার কাছে চাইতে যান সাথী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে জাকির হোসেন লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। তার মারধরে সাথী আক্তারের বাম হাত ভেঙে যায়। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন। ভাতিজি হাসপাতালে ভর্তির খবর শুনে চাচা তাকে জীবননাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন সাথী। এদিকে সাথী টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না; অতিকষ্টে তিনি দিনাতিপাত করছেন।
আহত সাথী আক্তার বলেন, সৌদি আরব পাঠানোর কথা বলে চাচা জাকির হোসেন হাওলাদার আমার কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা নেন। আমাকে বিদেশ না পাঠিয়ে চাচা ওই টাকা হজম করে ফেলেছেন। আমি এ টাকা চাইতে গেলে আমাকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছেন। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
চাচা জাকির হোসেন হাওলাদার বলেন, আমাকে সাথী ১৫ হাজার টাকা দিয়েছিল। ওই টাকা পাসপোর্ট বাবদ খরচ করেছি। তবে তাকে মারধর করিনি।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মোরশেদ আলম বলেন, আহত সাথী আক্তারের বাম হাত ভেঙে গেছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খবর: যুগান্তর