মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৮ অপরাহ্ন

প্রধান শিক্ষককে কিল-ঘুষির ঘটনায় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক / ২৬৫ বার পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২২, ১:৫৮ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়ায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। কুষ্টিয়া মডেল থানায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় মামলাটি করেন ওই শিক্ষক। এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে কুষ্টিয়ার পৌরসভার কাউন্সিলর সোহেল রানাকে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও দুজনকে। এর মধ্যে মোস্তফা নামের একজনকে রাতেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ শুক্রবার দুপুরে প্রথম আলোকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছাব্বিরুল আলম। তিনি বলেন, কাউন্সিলর সোহেলসহ অপর দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

কাউন্সিলর ও তাঁর লোকজনের হাতে গতকাল সকাল ১০টার দিকে শহরের লাহিনীপাড়ায় লাহিনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিজ কক্ষে মারধরের শিকার হন প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম। এ ঘটনার পর বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রায় ৪০ মিনিট অবরোধ করে রেখেছিল। সোহেল কুষ্টিয়া পৌরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের পাশাপাশি কুষ্টিয়া সদর উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক। পাশাপাশি ঠিকাদারির কাজ করেন তিনি।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক মাস ধরে কাউন্সিলর সোহেল বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বালু স্তূপ করে রেখেছেন। পাশাপাশি বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের ডান পাশে ইট রেখেছেন। বালু উড়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ দূষিত ও ইট ভাঙার শব্দে লেখাপড়ার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল। এসব নির্মাণসামগ্রী রাখার ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের অনুমতিও নেওয়া হয়নি।

প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, প্রথমে ভেবেছিলেন কয়েক দিন পর এগুলো সরিয়ে নেওয়া হবে। কিন্তু না সরানোয় বিষয়টি কাউন্সিলর সোহেলকে জানান। তিনি এতে কর্ণপাত করেননি। বৃহস্পতিবার সকালে ইট ভাঙানোর যন্ত্র দিয়ে ইট ভাঙা হচ্ছিল। এ সময় স্কুলে জাতীয় সংগীত চলছিল। ইট ভাঙা বন্ধ রাখার কথা বললেও শ্রমিকেরা কোনো কথা শুনছিলেন না।

প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করেন, কাউন্সিলর তাঁর শ্রমিকদের দিয়ে বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহার করে কাজ করাচ্ছিলেন। এতে বাধা দেওয়া হয়। এরপর কাউন্সিলর খেপে মুঠোফোনে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। পরে নিজে ছয় থেকে সাতজন সন্ত্রাসী নিয়ে বিদ্যালয়ে তাঁর কার্যালয়ে ঢোকেন। জামার কলার ধরে কিল–ঘুষি মারেন। গালে ও মাথায় আঘাত পেয়েছেন নজরুল ইসলাম। পরে তিনি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সহকারী প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম দাবি করেন, কাউন্সিলর কার্যালয়ে ঢুকে প্রধান শিক্ষকের জামার কলার ধরে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। চেয়ার-টেবিল ফেলে দেন। বাধা দিতে গেলে ধাক্কা দিয়ে তাঁকে ফেলে দেওয়া হয়।


এ জাতীয় আরো খবর ....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Translate »
Translate »