বগুড়ায় প্রাইভেটকার থেকে ফেরদৌস আলী (৩২) নামে এক চালকের পঁচন ধরা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার রাত ৯টার দিকে শহরে মালতিনগর এলাকার একটি গ্যারেজ থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সদর থানার ওসি সেলিম রেজা জানান, চালকের আসনে বসা অবস্থায় লাশ পাওয়া যায়। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে; ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, মৃত চালক ফেরদৌস আলী বগুড়ার গাবতলী উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের সোনারায় গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে। তিনি বগুড়া শহরের মালতিনগর হাইস্কুল রোডের ব্যাংকার (অগ্রণী ব্যাংক, ঢাকা) জিয়া আনসারী লিটন ও ডা. নাদিয়া ইসলামের ব্যক্তিগত গাড়ি চালক ছিলেন।
কারটি মালতিনগর বকশিবাজার মোড়ের কাছে তাদের কেনা গ্যারেজে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসক-ব্যাংকার দম্পতি ঢাকায় যান। ফেরদৌস আলী তাদের ঢাকার গাড়িতে তুলে দিয়ে প্রাইভেট কার গ্যারেজে রাখতে আসেন।
গ্যারেজের কেয়ারটেকার ইলেকট্রিশিয়ান বেলাল হোসেন জানান, মালিক দম্পতি ঢাকায় যাওয়ার পর কার গ্যারেজে রেখে তাকে চাবি দেওয়ার কথা ছিল। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চাবি না দেওয়ায় তিনি গ্যারেজে এসে দেখেন সার্টার বন্ধ। ভেতর থেকে পঁচা দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। পরে দরজা খুলে প্রাইভেট কারের চালকের আসনে ফেরদৌস আলীর লাশ দেখতে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ রাত ৯টার দিকে লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
সদর থানার ওসি সেলিম রেজা জানান, লাশে পঁচন ধরায় বিকৃত হয়ে গেছে। তাই প্রাথমিকভাবে তার মৃত্যুর কারণ বলা সম্ভব হচ্ছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তার ধারণা, হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে সদর থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা হয়েছে।
খবর: যুগান্তর