মিরপুরের রিপনের বিরুদ্ধে দুই থানায় অভিযোগ দায়ের।
এভাবেই কথা বলছিলেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কুর্শা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর আলীর ভাতিজা রিপনের বাড়িতে অনশন করা ওই নারী। স্ত্রীর অধিকার পেতে প্রেমিকের বাড়িতে তিনদিন ধরে অনশন করেও স্ত্রীর অধিকার পাইনি। ভাতিজার বিচার চেয়ে চেয়ারম্যানের কাছে ধন্যা দিয়েও কাজ হয়নি। থানা, পুলিশ ক্যাম্প, সমাজপতিরাও কেউও এগিয়ে আসেননি। গত ১৩ আগস্ট সকাল থেকে অনশন শুরু করেছিলেন ওই নারী। ঘটনাটি সিনেমার স্টাইল এই দৃশ্য শত শত সাধারণ মানুষও দেখেছেন। অভিযুক্ত রিপন চেয়ারম্যানের ভাতিজা হওয়ায় নিরব দর্শক হিসাবে ছিল মানুষ।
অবৈধ সম্পর্ক ও নারী কেলেংকারীর ঘটনা নিয়ে ঝড় উঠে উপজেলা এলাকাজুড়ে। তারপর বিষয়টি নিয়ে নানান জল্পনা-কল্পনা সৃষ্টি। স্ত্রীর অধিকার সে কি পাবে না? তার কি দোষ ছিল? অসহায় ওই নারীর চোখের জলে ভারি হচ্ছিল কুষ্টিয়ার আকাশ। এ দায় তাহলে কার? প্রশ্ন দৈনিক সময়ের দিগন্ত পত্রিকার পাঠকের কাছেই ছেড়ে দিলাম।
স্ত্রীর অধিকার না পেয়ে নিজ এলাকায় যেতে বাধ্য হন তিনি। ঘটনার যেখানে সূত্রপাত সেই গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানায় এবার গত ১৬ আগস্ট সকালে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
একই ঘটনায় এর আগেও কুষ্টিয়ার মিরপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
ভুক্তভোগী নারী আরও জানান, তার আগে একটি বিয়ে হয়েছিল। সেই স্বামীও প্রবাসী ছিলেন। স্বামীর ঘরে থাকাকালে রিপন ওমান প্রবাসী থাকা অবস্থায় মোবাইলফোনের মাধ্যমে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত (২৪ জুন) তারিখে দেশে ফিরে রিপন বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। পরে আমার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়। বিবাহিত এবং এক সন্তানের জননী জেনেও আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয়। আমার সাথে সংসার করবে বলে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয় রিপন। পরে আমি আমার আগের পক্ষের স্বামীকে তালাক দিলে বেশকিছু দিন রিপনের সঙ্গে ভালো সময় কাটালেও তা বেশি দিন কপালে সইনি। এখন আমাকে বরুণ, না করলে মরন ছাড়া আর কোনো পথ থাকবে না আমার। তাই স্ত্রীর অধিকার পেতে প্রেমিক রিপনের বাড়িতে ৩দিন ধরে অনশন করছি। বিচারের জন্য বিভিন্ন জনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও বিচার পাইনি। প্রেমিক রিপন মাজিহাট গ্রামের আমিন উদ্দিনের ছেলে। তার বাড়িতে আসার পর রিপন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।
বিচার চেয়ে থানা, পুলিশ ক্যাম্প, চেয়ারম্যান, মেম্বারের কাছে গিয়েও বিচার পাইনি। নিজের ছোট শিশু সন্তানকে নিয়ে প্রেমিক রিপনের বাড়িতেই অবস্থান করেছি। একই অভিযোগের ভিত্তিতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। এদিকে ওই নারীর বাড়ি নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলায়। সে বাসা বাড়িতে কাজ করার সুবাদে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। সেখান থেকেই মোবাইল ফোনে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এ ব্যাপারে রিপনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
কুর্শা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর আলী জানান,রিপন এবং ওই নারী প্রেমের সম্পর্ক করেছে। তারায় বিষয়টি সমাধান করবে। এখানে আমার কিছুই করার নেই।