বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আঃকাঃম সরওয়ার জাহান বাদশাহ্। এ-সময় জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধতন কর্মকর্তা, প্রকৌশলী, গবেষকসহ উপস্থিত ছিলেন দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ মামুন, উপস্থিত ছিলেন মরিচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম।
এমপি বাদশাহ্ জানিয়েছেন, শিগগিরই জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন সামাল দিতে জিও ব্যাগ ফেলা হবে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য জোর প্রচেষ্টা চলছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে নিয়মবহির্ভূত ভাবে নিয়মিত বালু তোলায় এমন অসময়েও ব্যাপক ভাঙন সৃষ্টি হতে পারে। এদিকে পদ্মা তীরবর্তী রামকৃষ্ণপুর,চিলমারি,ফিলিপন নগর, মরিচা ইউনিয়নে এলাকাবাসীর কথা, তাদের তীব্র ভাঙনের মুখে পড়তে হয়। নদীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তলন চলতেই থাকে। ভাঙন ঠেকাতে বিভিন্ন সময় বালুর বস্তা বা জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে নদীর তীরে। নদীর গতিপথ নিয়ন্ত্রণ, বাঁধ নির্মাণসহ স্থায়ী ব্যবস্থা চাইছেন তারা।
উপজেলাটিতে পদ্মার কিছু অংশে স্থায়ীভাবে কংক্রিটের বাঁধ থাকলেও তা একেবারেই অপ্রতুল।
গেল বর্ষা থেকে শুরু করে টানা ভাঙনে মরিচা ইউনিয়নের বেশকিছু গ্রাম বিলুপ্তির পথে। শুষ্ক মৌসুমেও বেপরোয়া ভাঙনে উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা। প্রায় সবদিনই চলছে সুরাহার দাবিতে নানা কর্মসূচি। প্রতিদিনই ভাঙছে নদী। নদীপাড়ের মানুষ হারাচ্ছে জায়গা-জমি-সম্পদ।