শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:১৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
সাতক্ষীরা পৌর এলাকায় সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত ও বর্ধিত পানির বিল প্রত্যাহারের দাবীতে গণঅবস্থান কর্মসূচী গাবুরা ইউনিয়ন জলবায়ু সহনশীল ফোরামের অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে আমন মৌসুমে ১১৪৮০ কেজি ধানবীজ ও ৯১৮৪ কেজি সার বিতরণ করেছে লিডার্স ব্যাঙ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সাইক্লিং রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা ঝিনাইদহে বর্নাঢ্য আয়োজনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত কুষ্টিয়ায় ভেজাল কসমেটিকস কারখানায় র‍্যাবের অভিযান,দের লক্ষ টাকা জরিমানা হেশেল ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়ে দুই শিশুর মৃত্যু কুষ্টিয়ায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি আল্লারদর্গা প্রেসক্লাবের আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

ভিক্ষুককে মৃত দেখিয়ে বয়স্কভাতা বাতিল!

নিজস্ব প্রতিবেদক / ২২৫ বার পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৯:৩৮ অপরাহ্ন

ফরিদপুরের নগরকান্দায় এক বিধবা বৃদ্ধা ভিক্ষুককে মৃত দেখিয়ে তার বয়স্কভাতা বাতিল করার অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী নগরকান্দা উপজেলার পৌরসভা এলাকার ৯নং ওয়ার্ডের জগদিয়া বালিয়া গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৮৩)। কয়েক মাস বয়স্কভাতা পাওয়ার পর হঠাৎ তার বয়স্কভাতা বন্ধ হয়ে যায়।

নুরজাহান বেগমের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, জমিজমা না থাকায় বৃদ্ধা গ্রামের পাকা সড়কের পাশে সরকারি জায়গায় ছোট একটি কুঁড়েঘর তৈরি করে বসবাস করছেন। গ্রামে গ্রামে গিয়ে ভিক্ষা করে যা আয় করেন, তা দিয়ে কোনো রকম দুই বেলা ভাত খেতে পারলেও, ভাঙা ঘরে বিনা চিকিৎসায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি।

নুরজাহান বেগম বলেন, শুনেছি আমাকে মৃত দেখিয়ে, আমার বয়স্কভাতা বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু আমিতো এখনো জীবিত। আমার কোনো ছেলে সন্তান নেই, আমার একটি মেয়ে আছে। অনেক আগেই মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেছে। আমি একজন ভূমিহীন বিধবা নারী, আমার কোনো জায়গাজমি নাই। আমি ভিক্ষা করে যা পাই, তা দিয়ে কোনো রকমে খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি। যতদিন বয়স্কভাতার টাকা পেয়েছি, তা দিয়ে আমি ওষুধ কিনে খেতাম। আমার বয়স্কভাতা বন্ধ করে দেওয়ায়, এখন ওষুধ কিনতে পারছি না। যদি সরকারের দেওয়া বয়স্কভাতা পেতাম, তাহলে এত কষ্ট করে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে ভিক্ষা করতাম না।

বয়স্কভাতা ফেরত চেয়ে তিনি বলেন, অনেকেই সরকারি ঘর পেয়েছে, কিন্তু আমি ঘরও পেলাম না। সরকার যদি আমাকে জায়গাসহ একটি ঘর দিতেন, তাহলে আমি মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতাম।

নগরকান্দা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিকু মিয়া বলেন, আমার এলাকায় নুরজাহান বেগমের মতো আরও অনেকেই আছেন, যারা ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এ ব্যাপারে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।

স্থানীয়দের ধারণা, হয়তো কোনো অসাধু চক্র, গ্রামের অসহায় মানুষদের ভাতা কেটে দিয়ে টাকার বিনিময়ে অন্য কোনো ব্যক্তির নামে ভাতাকার্ড করে দিয়েছে।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, নুরজাহান বেগমের নাম বয়স্কভাতা থেকে কর্তন করা হয়েছে। তবে কী কারণে কর্তন করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছি।

খবর: যুগান্তর


এ জাতীয় আরো খবর ....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Translate »
error: Content is protected !!
Translate »
error: Content is protected !!