নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুরে জেগে ওঠা চরে খাসজমি জবরদখল থেকে উচ্ছেদ করতে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর হামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রশাসন ওই স্থান থেকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে অবৈধ স্থাপনা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মুছাপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে ক্লোজার ঘাট এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আল আমিনের নেতৃত্বে নোয়াখালী থেকে আসা অতিরিক্ত পুলিশ এ অভিযানে অংশগ্রহণ করে।
এর আগে বুধবার দুপুরে ওই স্থানে অবৈধ স্থাপনা থেকে উচ্ছেদ করতে গেলে ভূমিদস্যুরা হামলা করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুছাপুর ক্লোজার সংলগ্ন জেগে ওঠা চরে সরকারি খাসজমিতে রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ভূমিদস্যুরা জবর দখল করে ভেকু মেশিন দিয়ে তৈরি করা ভিটিতে ঘর নির্মাণ করে। এ সব অবৈধ স্থাপনা সরকারি খাস জমি থেকে বুধবার উচ্ছেদ করতে গেলে ভূমিহীন নামধারী ভূমিদস্যুরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় ভূমি অফিসের ৩ অফিস সহায়ক আহত হয়েছিলেন। যে ঘটনাটি পরদিন বুধবার দৈনিক যুগান্তরসহ বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আল আমিনের নেতৃত্বে নোয়াখালী জেলা থেকে আসা অতিরিক্ত পুলিশ, আনসারসহ ঘটনাস্থল মুছাপুর ক্লোজারে গিয়ে অবৈধ স্থাপনাসমূহ গুঁড়িয়ে দেয়। এ সময় ভূমিদস্যু ও বুধবারের হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীরা পার্শ্ববর্তী বনবিভাগের বাগানে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অবস্থান করছিল।
প্রসঙ্গত, মুছাপুর ইউনিয়নে ক্লোজার নির্মাণের পর সেখানে প্রায় ১ হাজার ৪শ একর উর্বর জমি জেগে ওঠে। ওই জমিতে কথিত ৬০০ ভূমিহীন ও বহিরাগতদের টাকার বিনিময়ে রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ভূমিদস্যুরা ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছিল।
বিভিন্ন নির্ভর সূত্রে জানা গেছে, প্রশাসনের একটি স্পর্শকাতর অংশ এবং শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিতে ভূমিদস্যুরা মূল্যবান সরকারি খাসজমি জবরদখল করছিল।
অভিযানের বিষয়টি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আল আমিন নিশ্চিত করেছেন।
সূত্রঃ যুগান্তর