•নিহতের সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ দেওয়ার আশ্বাস
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত পরিবারের সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের মতোই পাবেন সম্মান ও মাসিকভাতা। দেওয়া হবে সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ। শহীদ পরিবারের মাঝে খাদ্য ও নগদ অর্থসহায়তা প্রদানকালে এই ঘোষণা দেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকার।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের মুহূর্তে কুষ্টিয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন ৮ জন। ওইসব পরিবারের ক্ষত এখনো দগদগে। থামেনি কান্নার রোল। অনেকের সন্তান এখনো অপেক্ষায় বাবার। এরই মধ্যে রোববার দুপুরে অর্থসহায়তা নিয়ে হরিপুর গ্রামের তিন শহীদ পরিবারের মাঝে উপস্থিত হন জাকির হোসেন সরকার। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ জয়নাল আবেদিন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়ার অন্যতম সমন্বয়ক তৌকির আহমেদসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা।
নিহতের পরিবার ও সন্তানদের খোঁজখবর নেন জাকির সরকার। তিনি বলেন, এই সহায়তা নিতান্তই সাময়িক। এই সব পরিবার তাদের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটাকে হারিয়েছে। আমরা চাই এসব পরিবারও সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচুক।
শহীদ পরিবারের জন্য মাসিকভাতার ব্যবস্থা করা হবে জানিয়ে জাকির সরকার বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের মতোই তারাও যেন সব সুযোগ-সুবিধা পান, সেই ব্যবস্থা আমরা করব। শহীদদের সন্তানদের লেখাপড়ার দায়িত্বও আমাদের। দলের পক্ষ থেকে নিয়মিত তাদের খোঁজখবর নেওয়া হবে।
শহীদ আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমার স্বামী যাওয়ার সময় বলেছিলেন শহীদ হতে যাচ্ছি। আল্লাহ তার মুখের কথা কবুল করেছেন। সে সবসময় চাইতো তার সন্তানরা মানুষের মতো মানুষ হোক। এখন আমাকে সেই স্বপ্নপূরণ করতে হবে। আপনারা আমার পাশে দাঁড়ানোর ফলে সাহস পাচ্ছি।
জয়নাল আবেদিন বলেন, এসব শহীদ পরিবার নিয়ে আমাদের সুদূর প্রসারি পরিকল্পনা ও নির্দেশনা রয়েছে। আমরা সবসময় এই পরিবারগুলোর পাশে আছি।