সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০৪:০০ অপরাহ্ন

৪১ দিন পর বাড়ি ফিরে গেলো সেই প্রতিবন্ধি যুবতী

নিজস্ব প্রতিবেদক / ১২৫ বার পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০২২, ৯:২৩ অপরাহ্ন

‘ডেইলি ঝিনাইদহ’পত্রিকায় খবর প্রকাশের ৪১ দিন পর স্বজনদের সানিধ্য পেলো মানসিক প্রতিবন্ধি সীমা খাতুন। শনিবার তার পিতা লাল্টু,চাচা সদর উদ্দীন ও সিদ্দিকুর রহমান এসে শৈলকুপা উপজেলার বাদালশো গ্রাম থেকে সীমাকে নিয়ে যান।সীমার বাড়ি মহেশপুর উপজেলার পরানপুর গ্রামে।গত ৪১ দিন ধরে তিনি বাদালশো গ্রামের লিয়াকত আলী খাঁর বাড়িতে ছিলেন।বাড়ির নাম ঠিকানা সঠিক ভাবে বলতে না পারায় কুড়িয়ে পাওয়া মেয়েটি ফেরৎ দিতে পারিনি লিয়াকত আলীএদিকে মানসিক প্রতিবন্ধি সীমা চলে যাওয়ায় লিয়াকত আলী ও তার স্ত্রী মায়া মমতায় কাতর হয়ে পড়েছেন।

শনিবার বিকালে গনমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় বারবার কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন লিয়াকত।তিনি কান্না ভেজা কন্ঠে বলেন,সীমা চলে যাওয়ায় তিনি ব্যাথিত।তার প্রতি যে মায়া জন্মেছে তা তিনি কখনোই ভুলবেন না।সীমা খুবই পরিপাটি ও পরিচ্ছন্ন মেয়ে ছিল বলে লিয়াকত উল্লেখ করেন। সময় পেলে তিনি পরানপুর গ্রামে সীমাকে দেখতে যাবেন বলেও জানান।জানা গেছে,৪১ দিন আগে সন্ধার দিকে বাদালশো গ্রামের লিয়াকত আলীর স্ত্রী বাড়ির পাশে মাঠের মধ্যে দেখতে পান একটি যুবতী মেয়ে বসে আছে।সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলেও মেয়েটি একই স্থানে বসে থাকায় নিরাপত্তার কথা ভেবে মেয়েটিতে তিনি বাড়ি নিয়ে আসেন।তারপর থেকে ওই মেয়েটি তার বাড়িতেই ছিল।বাড়ির কথা জিজ্ঞাসা করলে বাড়ি পরানপুর এবং নিজের নাম বলছেন সীমা বলতে পারতেন।
বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার ডেইলি ঝিনাইদহ পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে মহেশপুর উপজেলার পরানপুর থেকে ছুটে আসেন তার পিতা লাল্টু মিয়া ও দুই চাচা।কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা বলরামপুর নানা বাড়ি থেকে নিজ গ্রামে ফেরার পথে নিখোঁজ হন মানসিক প্রতিবন্ধি সীমা।পথ ভুলে তিনি শৈলকুপার বাদালশো গ্রামে চলে যান।


এ জাতীয় আরো খবর ....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Translate »
error: Content is protected !!
Translate »
error: Content is protected !!