গোস্বামীদুর্গাপুরে নাগরিক সনদ জালিয়াতির অভিযোগ
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার গোস্বামীদুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিক সনদ জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে।
গোস্বামীদুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান লাল্টু রহমান গত ১০নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে সাংবাদিকদের মুঠোফোনে নাগরিক সনদ জালিয়াতির অভিযোগ করেন। বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নাটানা গ্রামের মৃত এলাহী মন্ডলের পুত্র বদর উদ্দিন চেয়ারম্যান এর স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য পরিষদে যান। এসময় পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য লাল মোহাম্মদ দলু ও ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য সাজ্জুল ইসলাম নাগরিক সনদটি ডুপ্লিকেট বলে দাবী করেন। সে সময় বিষয়টি ঐ ইউপি সদস্য চেয়ারম্যান লাল্টু রহমান কে অবগত করলে সত্যতা যাচাইয়ে চেয়ারম্যান পরিষদে অবস্থান করেন। সরেজমিনে চেয়ারম্যান দেখে বুঝতে পারেন নাগরিক সনদ স্ক্যান করা।
জালিয়াতি নাগরিক সনদ গ্রহনের বিষয়ে ভুক্তভোগী বদর উদ্দিন বলেন, গোস্বামীদুর্গাপুর বাজারের ফটোকপি ব্যবসায়ী মানিক এর কাছ থেকে ১০টাকায় কিনেছে।
ঘটনার বিষয়ে শুক্রবার ১১ নভেম্বর গোস্বামীদুর্গাপুর বাজারের ব্যবসায়ী মানিকের চাচা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজ সাংবাদিকদের জানান ভূল বসত কাজটি করেছে। তবে পুনরায় মানিক এ ধরনের কাজ করবে না বলে দাবী করেন ঐ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা।
ঘটনার বিষয়টি চেয়ারম্যান লাল্টু রহমান উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন। কর্তৃপক্ষ তাকে নাগরিক সনদ প্রদানে সতর্কতা অবলম্বনে পরামর্শ প্রদান করেন। এছাড়াও লাল্টু বলেন, বর্তমানে ব্যবহুত নাগরিক সনদ স্ক্যান কপি ধরা পড়েছে, সেহেতু খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন ডিজাইনে নাগরিক সনদ তৈরী করবেন এবং নতুন ডিজাইনে নাগরিক সনদ হাতে পেয়ে পরিষদের মাসিক মিটিংয়ে সকল ইউপি সদস্যকে অবগত করে সতর্কতা সহিত বিতরন করা হবে। চেয়ারম্যান আরো জানান, বর্তমানে ব্যবহুত নাগরিক সনদ (জালিয়াতি) স্ক্যান কপি একজন ভুক্তভোগীর কাছে পাওয়া গেছে, পুনরায় নাগরিক সনদ কারো কাছে স্ক্যান কপি পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর দিন রাত জনগণের সেবা করে চলেছেন। তার এমন সেবা মূলক কাজ দেখে এলাকার কুচক্র মহল তাকে ফাঁসাতে চায় বলে দাবী করেন তিনি। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এলাকাবাসী।