ভাড়া বাড়ির ছাদে ঘুড়ি উড়ানোর সময় বাবা ও ছেলেকে ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে।
শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার বরাহনগরে এ ঘটনা ঘটে।
বাবা ও ছেলে প্রাণে বেঁচে গেলেও তারা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর চোট পেয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার জানায়, বরাহনগরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মৎস্যজীবী কলোনিতে চারতলা বাড়ির ছাদে অন্যান্য ভাড়াটে এবং বাচ্চাদের সঙ্গেই ছাদে উঠেছিলেন বাবা শুকদেব হালদার (৪৮) ও ছেলে সুশান্ত হালদার (২৫)। সবাই ঘুড়ি উড়াচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ ছাদে উঠে আসে অজিত নামে এক যুবক।
ঘুড়ি কাটাকাটি নিয়ে ওই সময় প্রতিবেশী এক ব্যক্তির সঙ্গে মজার ছলেই কথা কাটাকাটি করছিলেন শুকদেব। এ সময় অজিত শুকদেবকে কয়েকবার চুপ করে থাকতে বলেন।
এমনকি কথা না শুনলে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ারও হুমকি দেন ওই যুবক। কিন্তু শুকদেব ভেবেছিলেন, অজিত নিশ্চয়ই মজা করছে।
এর পরই অজিত হঠাৎ শুকদেবকে ছাদ থেকে নিচে ফেলে দেন। পাশেই ছিল টালির ছাউনির একটি বাড়ি। টালি ভেঙে সেই ঘরের খাটের ওপর গিয়ে পড়েন শুকদেব।
শুকদেবকে ছুড়ে ফেলার ওই ঘটনা দেখে প্রতিবাদ করায় ছেলে সুশান্তকেও একইভাবে ছুড়ে ফেলার চেষ্টা করেন অজিত।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অজিত নেশা করে। এলাকায় তিনি সন্ত্রাসী হিসাবেও পরিচিত।
খবর: যুগান্তর