বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৪:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
ভোট গ্রহনে অনিয়ন হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চাকুরী থাকবে না… নির্বাচন কমিশনার সাতক্ষীরা পৌর এলাকায় সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত ও বর্ধিত পানির বিল প্রত্যাহারের দাবীতে গণঅবস্থান কর্মসূচী গাবুরা ইউনিয়ন জলবায়ু সহনশীল ফোরামের অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে আমন মৌসুমে ১১৪৮০ কেজি ধানবীজ ও ৯১৮৪ কেজি সার বিতরণ করেছে লিডার্স ব্যাঙ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সাইক্লিং রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা ঝিনাইদহে বর্নাঢ্য আয়োজনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত কুষ্টিয়ায় ভেজাল কসমেটিকস কারখানায় র‍্যাবের অভিযান,দের লক্ষ টাকা জরিমানা হেশেল ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়ে দুই শিশুর মৃত্যু কুষ্টিয়ায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি

চুয়াডাঙ্গায় টেবিল ভাঙার প্রতিশোধ নিতে শিশুকে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক / ১৭৭ বার পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২, ৬:৫৭ অপরাহ্ন

২০২০ সালে এক ঈদের রাতে আব্দুল মোমেন বন্ধুদের নিয়ে উচ্চস্বরে সাউন্ড বক্সে গান বাজাচ্ছিলেন। এ সময় প্রতিবেশী আব্দুল বারেক ক্ষিপ্ত হয়ে সাউন্ড বক্স রাখা টেবিলে লাথি মারলে টেবিলটি ভেঙে যায়। এর জের ধরে গত ১৯ জানুয়ারি আব্দুল বারেকের একমাত্র ছেলে আবু হুরাইরাকে (১১) শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন মোমেন।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. আবু তারেক এসব তথ্য জানান।

তিনি আরও বলেন, আবু হুরাইরা নিখোঁজের পর ২৫ জানুয়ারি তার বাবা আবদুল বারেক বাদী হয়ে প্রাইভেট শিক্ষক রঞ্জু, তার ভাই মঞ্জু, মা মহিমাসহ পাঁচজনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন। ওই দিনই রঞ্জু ও মঞ্জুকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে তাদের কাছ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

হত্যার কয়েক দিন পর প্রতিবেশীর বাড়িতে একটি সিম কার্ড চুরি করেন আবু মোমেন। সেই সিম কার্ড দিয়ে এক সহযোগীকে দিয়ে আবু হুরাইরার বাবা আব্দুল বারেকের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এরপর টাকা চেয়ে পাঠানো হয় একটি চিরকুট। পুলিশ আব্দুল বারেকের মোবাইল নম্বরের কল লিস্টের সূত্র ধরে আব্দুল মোমেনকে রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। আব্দুল মোমেন পুলিশের কাছে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন। এরপর কবরস্থান থেকে মাটিচাপা দেওয়া হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আবু হুরাইরার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, আব্দুল মোমেন একাই হত্যাকাণ্ড ঘটান। পরে অন্য এক সহযোগীর মাধ্যমে আব্দুল বারেকের কাছে মুক্তিপণের টাকা দাবি করেন। আমরা ওই সহযোগীকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালাচ্ছি।

আবু হুরাইরা চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার তালতলা গ্রামের ভুট্টা ব্যবসায়ী ও কৃষক আব্দুল বারেকের একমাত্র ছেলে। সে চুয়াডাঙ্গা ভি জে সরকারি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। আর হত্যাকারী আব্দুল মোমিন একই এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি।

এদিকে বিষয়টি শুনে সোমবার সকালে তালতলা গ্রামবাসী উত্তেজিত হয়ে হত্যাকারী আব্দুল মোমেনের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। আব্দুল মোমেনের মাকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে তারা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং মোমেনের মাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তালতলা গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

অন্যদিকে নিহত আবু হুরাইরার সহপাঠীরা হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের চৌরাস্তার মোড়ে মানববন্ধন করে তারা। পরে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে।

সূত্রঃ ঢাকাপোস্ট


এ জাতীয় আরো খবর ....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Translate »
error: Content is protected !!
Translate »
error: Content is protected !!