ঝিনাইদহে ওয়াজ মাহফিলের মাঠে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে হুসাইন (১৭) নামের এক কিশোর নিহত হয়েছেন।আহত হয়েছেন জুলফিককার ও ফিরোজ নামে আরো দুই কিশোর।নিহত হুসাইন ঝিনাইদহ পৌর এলাকার ইসলামপাড়ার মনিরুল ইসলামের ছেলে।তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরি দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে আঘাত করা হয়েছে।বুধবার (০২/০৩/২০২২ ইং) রাত ১১টায় সদর উপজেলার মান্দারবাড়িয়া গ্রামের মাদ্রাসার ওয়াজ মাহফিলের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।আহত জুলফিককার ও তার ভাই ফিরোজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। জুলফিককারের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।আহত দুই ভাই ইসলামপাড়ার নজরুল ইসলামের ছেলে।ছুরিকাঘাতে আহত ফিরোজ হোসেন জানান,তারা দুই ভাই ঝিনাইদহ টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এ বছর এসএসসি পাশ করেছেন।নিহত হুসাইন তাদেরই বন্ধু।হুসাইন তার বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করে।বুধবার রাতে তারা মান্দারবাড়িয়া গ্রামের ওয়াজ মাহফিলের মাঠে ঘুরছিলেন।এ সময় একজনের সঙ্গে সামান্য ধাক্কা লাগে। তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য জিহাদী নামে এক ফল বিক্রেতা কোমর থেকে সেভেন গিয়ার বের করে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে।এতে তারা তিনজন গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে ভর্তির পর রাত ২টার দিকে হুসাইন মৃত্যুবরণ করেন। ফিরোজ অভিযোগ করেন,জিহাদীর সঙ্গে আরো অনেকেই ছিল।কিন্তু তাদের চিনতে পারেনি।ফিরোজের ভাষ্যমতে এলোপাথাড়ী হামলার সময় অপরিচিত এক ব্যক্তি তার কাছ থেকে ছুরি কেড়ে নেয়। তা নাহলে ভাইসহ আমিও নিশ্চিত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তাম।নিহতের মা লিপি বেগম বলেন,আমি কিচ্ছু চাই না।আমির আমার সন্তানের হত্যার বিচার চাই।আমার ছেলেকে যারা মেরে ফেলেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই।এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই এমদাদ বলেন, ছুরিকাঘাতের ঘটনায় হুসাইন নামে এক যুবক মারা গেছে।জুলফিককার ও ফিরোজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।তবে কি কারনে এমন ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।এ বিষয়ে মামলার পক্রিয়া চলছে।