ময়মনসিংহের ভালুকায় করোনার টিকা নিতে গিয়ে অন্তরা বর্মণ (১৭) নামের এক কলেজছাত্রী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। এ সময় তার বড়বোনও গুরুতর আহত হয়েছেন।
অন্তরা উপজেলার কংশেরকুল গ্রামের ব্যবসায়ী রতন বর্মণের মেয়ে। তিনি বিরুনীয়া সদর আলী সরকার মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে বড়বোন হ্যাপিকে নিয়ে উপজেলা সদরে যান অন্তরা। টিকা কেন্দ্রে এসে জানতে পারেন টিকা দেওয়ার তারিখ পরিবর্তন হয়েছে।
এরপর বোনকে নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। দুপুর দেড়টার সময় ভালুকা-গফরগাঁও সড়কের রাংচাপড়া এলাকায় ট্রাক্টরের সঙ্গে সংঘর্ষে তাদের অটোটি দুমড়ে-মুচড়ে পুকুরের পানিতে ডুবে যায়।
এতে ঘটনাস্থলেই কাঞ্চন তালুকদার (৩৫) নামের এক পল্লিচিকিৎসক নিহত হন। অন্তরা ও তার বোন হ্যাপিসহ পাঁচজন আহত হন।
দুই বোনকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাতে তাদের অবস্থা অবনিত হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথেই অন্তরা মারা যান।
হ্যাপি বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহতের বাবা রতন বর্মণ বলেন, আমার দুই মেয়ে বুধবার করোনার টিকা দিতে গিয়ে ভালুকা থেকে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়। অন্তরা মারা গেছে। বড় মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. মাহমুদ হোসাইন জানান, আমাদের তো করোনার টিকার ঘাটতি নেই। কী কারণে বুধবার ছাত্রীদের টিকা দেওয়া হয়নি আমি বলতে পারছি না। তবে টিকা দিতে এসে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্রী নিহত হওয়ার বিষয়টি আমি জানি না।
সূত্রঃ যুগান্তর