সরকারি কর্মকর্তা হয়ে আয়বহির্ভূত বেশি সম্পদ অর্জন করার অভিযোগে দুদকের মামলায় পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মাহবুব আলমকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার সকালে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হলে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেওয়া হয়।
মো. মাহবুব আলম বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার বুকাবুনিয়া গ্রামের মৃত মহব্বত আলী আকনের ছেলে।
জানা যায়, মো. মাহবুব আলম ২০১৭-১৮ করবর্ষে মোট ২০ লাখ ১৫ হাজার ২২৫ টাকার সম্পদ অর্জন করেন। ওই সম্পদ অর্জনের হিসেবে চাকরি ও টিউশনি থেকে ১৭ লাখ ৫২ হাজার টাকা আয় প্রদর্শন করলেও তার চাকরির আয় থেকে দুই মেয়ের লেখাপড়ার খরচসহ পারিবারিক খরচ মিটিয়েছে ১৭ লাখ ৫২ হাজার ৮০ টাকা তা সঠিক নয়। ওই পরিমাণ সম্পদ জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত মর্মে দুদকের তদন্তে পরিলক্ষিত হয়েছে।
এছাড়া মাহবুব আলম ২০১৮-১৯ করবর্ষে আয়কর নথিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ৪ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ টাকা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি থেকে সর্বমোট ১৩ লাখ ৬ হাজার ৭৩৪ টাকাসহ ৪০ লাখ ৯২ হাজার ৯৭০ টাকার প্রদর্শন করেন। দুদকের তদন্তকালে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যতীত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ১৩ লাখ ৬ হাজার ৭০৪ টাকার ঋণ থাকার বিষয়টি সঠিক নয়। ওই পরিমাণ সম্পদ জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত মর্মে দুদকের তদন্তে পরিলক্ষিত হয়।
তাছাড়া মো. মাহবুব আলম দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ২৬ লাখ ৯৯১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন। মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদানপূর্বক ওই পরিমাণ সম্পদ আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয় মর্মে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় পটুয়াখালীর উপ-পরিচালক মো. নাজমুল হুসাইন ২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর মাহবুব আলমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত অর্থ থাকায় অভিযোগ দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে দুদকের পিপি মো. শাহজাহান বলেন, আমি জামিনের বিরোধিতা করেছি। দুদক তদন্ত করে সঠিকভাবে প্রতিবেদন দাখিল করেছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুর রহমান নান্টু বলেন, আমার মক্কেল সঠিক সময় আয় ব্যয়ের হিসাব আয়কর অফিসে জমা দিয়েছেন। আমার মক্কেল মাহবুব আলম ২০১৮ সালের আগে ধার দেনা ও বেতনের টাকা দিয়ে বাড়ি করেছেন। দুদক বর্তমান বাজার দরে হিসাব করে যে প্রতিবেদন দিয়েছে তা সঠিক নয়।
সূত্রঃ যুগান্তর