ঘুর্ণিঝড় অশনির কিছুটা প্রভাব পড়েছে মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর, গাংনী উপজেলায় মঙ্গলবার ও বুধবার (১০,১১ মে) দুপুর থেকে দেশের অন্যান্য এলাকায় ঘুর্ণিঝড় হলেও, সে ঝড় দুর্বল হয়ে মেহেরপুরের বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টি হয়।
একটানা কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠে উঠতি ফসল এখন পানির নিচে। পাট ক্ষেত তলিয়ে উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়াও পাট ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক স্থানে পাটের জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে । বিশেষ করে পাঁকা ধান কাটার পর অনেক এলাকার জমিতে ধানের বিচালি রাখা রয়েছে। কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে ওই সব ধান এখন পানির নিচে।
এছাড়াও ধান ক্ষেতের ৬০ ভাগ এখনও কাটা হয়নি। যা জমিতেই রয়েছে।
গাংনী উপজেলা ধর্মচাকী গ্রামের কৃষক বকুল হোসেন জানান,বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণে ধান কাটা ও মাড়াই করা খুবই কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়বে। জমি থেকে ধান ঘরে তুলতে বাড়তি খরচ হবে।
এব্যাপারে গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার লাভলী খাতুন জানান ঘূণিঝড় অশনির প্রভাবে বৃষ্টি নিম্নচাপ ও ভারী বর্ষণের অনেক কৃষকের সোনার ধান ওপাট ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। কৃষকরা ধান গুলো কেটে মাঠেই শুকানোর জন্য রাখা ছিলো সেগুলো থেকে বিচিলি বা খড় পাওয়ার কোন সম্ভনা নেই। ধান পাওয়া গেলেও তার গুণগত মান অতটা ভাল হবেনা। শ্রমিক সংকটের কারনে অনেক কৃষক ইচ্ছে থাকলেও ধান কেটে ঘরে তুলতে পারেনি।ধান কাটা শ্রমিকের মুজুরি ৩ গুন হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে সৃর্ষ না উঠলে আর বৃষ্টি বন্ধ না হলে ধান না শুকাতে পারলে বাড়ীতে পাইল করা ধান নষ্ট হবে।
কৃষি মন্তণালয় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে বেশ আগে থেকেই আবহাওয়ার পৃর্বভাস সহ দ্রুত ধান কেটে সংরক্ষন করতে বলা হয়েছিল এবং ইতোমধ্যে গাংনী উপজেলায় ৫০÷ এর বেশি ধান কাটা হয়েছে।ধান কেটে মাঠে ছড়িয়ে না রেখে একসাথে জড়ো করে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রকৃতির উপর মানুষের হাত নেই। তবুও সরকার চেষ্টা করছে ক্ষতিগ্রস্থা কৃকদের সহায়তা করতে। ইতিমধ্যে কৃষকদের মাঝে ভর্তুকির মাধ্যমে ধান কাটা যন্ত্র বিতরণ করছে।
মেহেরপুরের কৃষি অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ডঃ স্বপন কুমার খাঁ বলেন, ঘুর্ণিঝড় অশনির কিছুটা প্রভাব মেহেরপুরে পড়েছে। উঠতি ফসল ধান ক্ষেতে পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে পাট ক্ষেত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছে।