নিয়ামতপুরে বরই খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে তৃতীয় শ্রেণির (৭) এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে বাদশা ইসলাম (১৮) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার উপজেলার পাঁড়ইল ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। পরদিন বুধবার ওই শিক্ষার্থীর মা থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ ধর্ষককে গ্রেফতার করে থানায় আনে। ধর্ষণের শিকার ওই শিশু বর্তমানে গুরুতর অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা যায়, ঘটনার দিন মঙ্গলবার বিকালে ধাওল গ্রামের উজ্জ্বলের ছেলে বাদশা ওই শিশুকে বরই খাওয়ানোর নাম করে প্রতিবেশী মেহেরজানের বাড়িতে নিয়ে যায়। ওই বাড়িতে কেউ না থাকায় সুযোগ পেয়ে বারান্দায় জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় ধর্ষক। পরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শিশুটি বাড়িতে ফিরে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে মাকে। বুধবার শিশুটির মা থানায় শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
ধর্ষণের শিকার ওই শিশুর মা বলেন, ওই যুবক তাকে বরই খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। মেয়ের অসুস্থতায় লোকজনের সহায়তায় নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকরা।
নিয়ামতপুর থানার ওসি হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় ওই শিশুর মা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণের শিকার ওই শিশুটি বর্তমানে রাজশাহীর ওসিসিতে রয়েছে এবং ধর্ষককে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
সূত্রঃ যুগান্তর