বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
ভোট গ্রহনে অনিয়ন হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চাকুরী থাকবে না… নির্বাচন কমিশনার সাতক্ষীরা পৌর এলাকায় সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত ও বর্ধিত পানির বিল প্রত্যাহারের দাবীতে গণঅবস্থান কর্মসূচী গাবুরা ইউনিয়ন জলবায়ু সহনশীল ফোরামের অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে আমন মৌসুমে ১১৪৮০ কেজি ধানবীজ ও ৯১৮৪ কেজি সার বিতরণ করেছে লিডার্স ব্যাঙ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সাইক্লিং রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা ঝিনাইদহে বর্নাঢ্য আয়োজনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত কুষ্টিয়ায় ভেজাল কসমেটিকস কারখানায় র‍্যাবের অভিযান,দের লক্ষ টাকা জরিমানা হেশেল ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়ে দুই শিশুর মৃত্যু কুষ্টিয়ায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি

যমুনার বুকে কালোজিরা চাষ, কৃষকের মুখে হাসি

নিজস্ব প্রতিবেদক / ১৭৫ বার পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২২ মার্চ, ২০২২, ৮:৪০ অপরাহ্ন

শুকনো মৌসুমে যমুনায় জেগে ওঠেছে ছোট-বড় বালুচর বা দ্বীপ। আর এ ধু-ধু বালুচরে বিভিন্ন জাতের অর্থকরি রবি ফসলে ভরপুরে সবুজের বিশাল সমারোহে মেতেছে চারদিক। বালুচরে সবুজ প্রকৃতি ফসলের মাঝে মূল্যবান ওষুধি ফসল নামে যে ফসল পরিচিত সেটি হলো ‘কালো সোনা বা কালোজিরা’।

ওষুধিগুণে ভরা অর্থকরি ফসলটি যমুনা চরাঞ্চলে বিগত বছরে তেমন চাষ না হলেও এ বছর ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে টাঙ্গাইল ভূঞাপুর উপজেলা যমুনা চরাঞ্চলের কৃষকদের। মানুষের কাছে ব্যাপক চাহিদা থাকায় চাষিরা একে তুলনা করছেন সোনার সঙ্গে। বেশ পরিচিতও লাভ করছে কালো সোনা নামে এই কালোজিরা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত বছর তেমন আগ্রহ না থাকলেও এ বছর কালো জিরা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। তাই এ বছর ১৮ হেক্টর জমিতে কালোজিরা চাষ করা হয়েছে।

যমুনা চরাঞ্চলে বর্তমানে চাষ হচ্ছে বারি কালো জিরা-১, জাতটির জীবনকাল ১৩৫-১৪৫ দিন। এর উচ্চতা ৫৫-৬০ সেন্টিমিটার। প্রতিটি গাছে প্রায় ৫-৭টি প্রাথমিক শাখা এবং ২০-২৫টি ফল থাকে। প্রতিটি ফলের ভেতরে প্রায় ৭৫-৮০টি বীজ থাকে যার ওজন প্রায় ০.২০-০.২৭ গ্রাম।

এ জাতের প্রতিটি গাছে প্রায় ৫-৭ গ্রাম বীজ হয়ে থাকে এবং ১০০০ বীজের ওজন প্রায় ৩.০০-৩.২৫ গ্রাম। হেক্টরপ্রতি এর গড় ফলন ০.৮০-১.০ টন। স্থানীয় জাতের তুলনায় এর রোগবালাই খুবই কম।

সরেজমিন কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা। বিঘায় ৪ থেকে সাড়ে ৪ মণ উৎপাদন হবে। বর্তমান বাজার মূল্যে প্রতি মণ কালোজিরার দাম ১৬ হাজার টাকা।

অর্জুনা ইউনিয়নের ভরুয়া গ্রামের কালোজিরা চাষি লাল মিয়া বলেন, এ বছর এক বিঘা জমিতে কালোজিরা চাষ করছি। ফলন ভালো হয়েছে। আশা করছি প্রায় ৪ মণ কালো জিরা উৎপাদন হবে।

গাবসারার রুলীপাড়া গ্রামের রহিম বলেন, আমার জমিতে অন্যান্য ফসলের মধ্যে বন্ধু ফসল হিসেবে কালোজিরা ফসল বুনেছি। গাছগুলো বেশ বড় হয়ে ফুল ধরছে। আশা করছি কালোজিরা চাষে লাভবান হতে পারব।

কালিপুর গ্রামের আব্দুল আলিম জানান, চরাঞ্চলের আবহাওয়া কালোজিরা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এ বছর জমিতে কালোজিরার যে ফলন দেখছি তাতে বাম্পার ফলন হবে। আগামীতে আরও বেশি করে কালোজিরা চাষ করব।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ড. হুমায়ূন কবির বলেন, কৃষকদের মাঝে কম খরচে বেশি লাভের জন্য বিভিন্ন সময়ে প্রশিক্ষণে মসলা জাতীয় ফসল চাষে উদ্বুদ্ধকরণ হয়েছে বলেই এ বছর যমুনা চরাঞ্চলের কৃষকরা ব্যাপক হারে কালোজিরা চাষ করেছে। আশা করছি এ বছর প্রতি একরে ১৩ থেকে ১৪ মণ কালো জিরা উৎপাদন হবে। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরাও খুশি। আগামী বছর কালোজিরা চরাঞ্চলের কৃষকদের কাছে কালোজিরা ‘কালো সোনা’ নামে পরিচিতি লাভ করবে।

সূত্রঃ যুগান্তর


এ জাতীয় আরো খবর ....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Translate »
error: Content is protected !!
Translate »
error: Content is protected !!