শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৬ পূর্বাহ্ন

কুষ্টিয়ায় রেলের কৃষিজমি ৮০ হাজার টাকা কাঠায় বিক্রি, বাড়ি নির্মাণ

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৪১৫ বার পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৬ জুন, ২০২৪, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন

কুষ্টিয়ায় রেলের কৃষিজমি বিক্রি করছে প্রভাবশালী একটি চক্র।

জগতি রেলওয়ে স্টেশনের পশ্চিম পাশেসে রয়েছে রেলের বেশ কিছু জমি, যার পরিমাণ১২ একর,এর মধ্যে ইমদাদুল হক এর জমির পরিমাণ ২একর,সেখান থেকে তিনি পলোট আকারে জমি বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জমিটি কৃষি জমি হিসেবে লিজ দেয়া থাকলেও বিক্রি হচ্ছে ব্যক্তি মালিকানায়।যার দাম কাঠা পতি ৮০ হাজার টাকা।

সরেজমিনে পরিদর্শন, বাড়ি নির্মাতা ও পোড়াদহ ফিল্ড কানুনগো মো. সহিদুজ্জামানের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। দেশের প্রথম জগতি রেলস্টেশন থেকে পশ্চিম দিকে গেলেই চোখে পড়ে সবুজ আখের ক্ষেত। তারই এক পাশে চেঁচুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ সংলগ্ন জমিতে গড়ে উঠেছে তিন রুমের বাড়ি। কানুনগো সহিদুজ্জামান বলেন, যে জমিতে বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছে, তার দাগ নং-৩৮৫। ওই জমির ২ একর অংশের লিজ পেয়েছেন ইমদাদুল। বাড়িটির মালিক সিদ্দিকের স্ত্রী আসমা বলেন, গত রমজান মাসে জমিটি আমরা ৮০ হাজার টাকা কাঠা কিনেছি। পার্শ্ববর্তী জমির দিকে আঙুল তুলে তিনি বলেন, এখানে অনেক জমিই বিক্রি হয়ে গেছে। জমিটি ১০০ বছরের জন্য কাগজ করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি আসমার। তিনি বলেন, ইমদাদুল পাকশি থেকে কাগজপত্র করে দিয়েছেন। তবে কাগজপত্র এখনো হাতে পাননি এই ক্রেতা।

এ বিষয়ে রেলের জমি বিক্রেতা ইমদাদুল হকের সাথে কথা বললে, প্রথমে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি । পরে নিজেই ফোন করে বলেন, ওই বাড়িটির জমি একসময় আমার দখলে ছিল, কিন্তু আমার লিজ নেওয়া ২ একর জমির মধ্যে পড়ে না। আমি জমিটি ছেড়ে দিয়ে তাদের কাগজপত্র করে নেওয়ার জন্য বলেছি। এখানে কোনো ধরনের কেনাবেচা হয়নি। ইমদাদুল হকের লিজ নেওয়া দুই একর জমিটি চাষ করেন কুষ্টিয়া পৌরসভার ২০নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন বাবলু। তিনি বলেন, জমিটি আমার চাষের অংশেই ছিল। তিনি জানান, বাড়ির মালিক সিদ্দিক একসময় ইমদাদুলের বাড়িতে কাজ করতেন। সেই সূত্রে ইমদাদুল তাকে জমিটি বাড়ি করা জন্য দিয়েছেন। কেনাবেচার বিষয়ে কোনো কিছু জানেন না আবদুল মতিন বাবলু।

রেলের জমিতে বাড়ি করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেল কর্তৃপক্ষ কানুনগো সহিদুজ্জামান; তিনি বলেন, আধাপাকা ওই বাড়িটি রেলের জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে। রেলের জমি কেনাবেচার কোনো সুযোগ নেই। শিগগিরই ওই জমিতে উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো হবে।


এ জাতীয় আরো খবর ....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর