মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
ভোট গ্রহনে অনিয়ন হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চাকুরী থাকবে না… নির্বাচন কমিশনার সাতক্ষীরা পৌর এলাকায় সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত ও বর্ধিত পানির বিল প্রত্যাহারের দাবীতে গণঅবস্থান কর্মসূচী গাবুরা ইউনিয়ন জলবায়ু সহনশীল ফোরামের অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে আমন মৌসুমে ১১৪৮০ কেজি ধানবীজ ও ৯১৮৪ কেজি সার বিতরণ করেছে লিডার্স ব্যাঙ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সাইক্লিং রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা ঝিনাইদহে বর্নাঢ্য আয়োজনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত কুষ্টিয়ায় ভেজাল কসমেটিকস কারখানায় র‍্যাবের অভিযান,দের লক্ষ টাকা জরিমানা হেশেল ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়ে দুই শিশুর মৃত্যু কুষ্টিয়ায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি

মিরপুরের হালসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়েকর্মচারী নিয়োগে গোপনে ঘুষ বাণিজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৯৮৮ বার পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : রবিবার, ৮ আগস্ট, ২০২১, ১০:৪২ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার হালসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠছে।
প্রতিষ্ঠানটির অফিস সহায়ক, নাইটগার্ড ও আয়া নিয়োগে গোপনে এ ঘুষ বাণিজ্য করেছেন বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিলন চৌধুরী। এ ঘুষ বাণিজ্যের সঙ্গে খোদ প্রতিষ্ঠানটির
একজন শিক্ষকও জড়িত রয়েছে বলে জানা গেছে। প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি ও ওই শিক্ষক তারা দু’জন কাউকে কিছু না জানিয়ে
কঠোর লকডাউনের মধ্যেও নিয়োগ বোর্ডকে ম্যানেজ করে গোপনে এ ঘুষ বাণিজ্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে এ ঘুষ বাণিজ্যের কথা স্বীকার করেছেন নিয়োগপ্রাপ্তদের স্বজনরা। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও রেকর্ড সংরক্ষণ রয়েছে এই নিউজের প্রতিবেদকের কাছে। ভিডিওতে অফিস সহায়ক পদেই ওই শিক্ষককে নিয়োগের জন্য ১০লক্ষ টাকা ঘুষ দেওয়ার কথা স্বীকার করেন তারা। অন্য পদ গুলোতেও একইভাবে মোটা অংকের ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে গোপনে নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্য করায় হালসা ইউনিয়ন এলাকাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। চলছে আলোচনা-সমলোচনাও।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে,হালসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক,নাইটগার্ড ও আয়া পদে ৩ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে গত ১৯ জুলাই তারিখে।
শিক্ষা অফিস অবশ্য বলছেন স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এদিকে সারাদেশে চলমান কঠোর লকডাউনের মধ্যে গোপনে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা ছাড়াই চুপচাপ তিন পদে নিয়োগ দেন প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি মিলন চৌধুরী নিজেই।
নিয়োগ প্রাপ্তরা হলেন,অফিস সহায়ক পদে ইউনিয়নের হাউসপুর গ্রামের জসিম। নাইটগার্ড পদে কাটদহচর গ্রামের হাসেমের ছেলে উজ্জল এবং আয়া পদে আমবাড়ীয়া গ্রামের তানিয়া। সকলেই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োগ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। গোপনে মোটা অংকের ঘুষ বানিজ্য করায়
বিদ্যালয়টির শিক্ষক ও কর্মচারীদের মধ্যে ভিতরে ভিতরে অস্বস্তিতে রয়েছে। ঘুষ বানিজ্যর সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা।

এ ব্যাপারে হালসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুস সালামের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা
তার মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

হালসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিলন চৌধুরীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আপনার যা খুশি করেন। আমি ৫০ লক্ষ টাকা নিয়েছি।

মিরপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হায়দার বলেন,এটা ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যাপার। নিয়োগ বানিজ্য হলেও হতে পারে। আমি নিয়োগ বোর্ডের একজন মেম্বার হিসেবেই ওই প্রতিষ্ঠানে গিয়েছিলাম।

মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস বলেন,অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কুষ্টিয়া জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জায়েদুর রহমান বলেন, এমন অভিযোগ আমার কাছে এখন পর্যন্ত আসেনি। অভিযোগ পেলেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন,অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


এ জাতীয় আরো খবর ....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Translate »
error: Content is protected !!
Translate »
error: Content is protected !!