পৈতৃক সূত্রে আসপিয়া ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আমিনাবাদ ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সেখানে তাদের যথেষ্ট জমি রয়েছে। প্রতি বছর সেই জমি বর্গা দিয়ে টাকা নিয়ে যান তার মা। তাই আসপিয়ার পুলিশ কনস্টেবলের চাকরি দাদাবাড়ির ঠিকানায় নেওয়ার দাবি করেছেন তার স্বজনরা।
শনিবার সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, আসপিয়া হালিমাবাদ গ্রামের সন্তান। তার চাকরির বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় আলী আকবর বলেন, তার বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের বসবাসও ছিল হালিমাবাদ গ্রামে। কাজের স্বার্থে বরিশালের হিজলা উপজেলায় এসে ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন আসপিয়ার বাবা শফিকুল ইসলাম। এখানে আসপিয়ার দাদাবাড়ির নিয়মিত যোগাযোগ এবং যাতায়াত ছিল। সে তো ভূমিহীন না। তার বাপ-দাদার যথেষ্ট জমি রয়েছে। তাই তাকে দাদাবাড়ির ঠিকানায় চাকরি নেওয়ার দাবি করছি আমরা।
আসপিয়ার মেজো চাচা মোশাররফ হোসেন বলেন, পৈতৃক সূত্রে আসপিয়ার পরিবার চরফ্যাশনে ৬৮ শতাংশ জমির মালিক। এর মধ্যে ১৪ শতাংশে ঘরভিটা রয়েছে। এছাড়া ৩২ শতাংশ নাল (বিলে) জমি। হালিমাবাদ মৌজার ৭৪৬নং খতিয়ানের ৩১১৮, ৩১৩৬, ৩১৩৮, ৩৩১৮, ৩৩২৮নং দাগে। ওই জমি হালিমাবাদ গ্রামের লতিফ সর্দারের ছেলে হামিদ সর্দার বর্গা হিসেবে প্রতি বছর আসপিয়ার মা ঝরনা বেগমকে টাকা দেন।
আসপিয়া বলেন, চরফ্যাশনের আমিনাবাদের হালিমাবাদ আমার দাদাবাড়ি তা ঠিক আছে। তবে দাদাবাড়ির সঙ্গে আমাদের নিয়মিত কোনো যোগাযোগ নেই। আমি হিজলায় বসবাস করতে চাই।
চরফ্যাশন থানার ওসি মনির হোসেন মিয়া বলেন, আসপিয়া চাকরি কোন ঠিকানায় করবে তা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। যেখানে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে সেখানে আমার বলার কিছু নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন বলেন, আসপিয়া যদি চরফ্যাশনের ঠিকানায় চাকরি নিতে চায় তাহলে আমরা তাকে সার্বিক সহযোগিতা করব।
সূত্র: যুগান্তর