সারাদেশের ন্যায় ঝিনাইদহেও শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।সকাল ১০ টা থেকে জেলার ৬ উপজেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি বেঞ্চে একজন করে শিক্ষার্থী বসে পরীক্ষা দিচ্ছেন।মহামারী করোনার পর পরীক্ষা দিতে পেরে খুশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।আগামীতে লকডাউনের মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেও এভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়ার পরামর্শ অভিভাবকদের।সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আসা রশিদ চৌধুরী নামের এক অভিভাবক বলেন,একটি বাচ্চা দীর্ঘদিন লেখাপড়া করলো। সে কখনও চাইনা তার পরীক্ষা বিহীন একটি রেজাল্ট হোক।এটা কাঙ্খিত না।শিক্ষার্থীদের কাছেও কাঙ্খিত না আমাদের কাছেও কাঙ্খিত না। দীর্ঘদিন পর পরীক্ষা হচ্ছে এজন্য শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আমরাও খুশি।মিলন হোসেন নামের আরেক অভিভাবক বলেন,এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। কিন্তু যদি আগামীতে করোনা পরস্থিতি খারাপ হয় তবুও যেন এভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়া হয়।পরীক্ষা শুরুর পর শহরের সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়,বালিকা বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শণ করেন জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান।জেলা প্রশাসক জানান,এ বছর জেলার ৬ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৬ হাজার ১’শ ১১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।এর মধ্যে এসএসসি ২০ হাজার ৪’শ ৩৩, দাখিল ৩ হাজার ৫’শ ১৫ ও ভোকেশনাল পরীক্ষা দিচ্ছে ২ হাজার ১’শ ৬৩।পরীক্ষা কেন্দ্রে যেন যথাযথ স্বাস্থ্য মানা হয় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।সেই সাথে প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে আমরা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছি।