দুর্বার বাংলা ২৪: করোনা পরবর্তী নারীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তু্লতে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন কুষ্টিয়া জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। সেলসও ডিসপ্লে সেন্টারের মাধ্যমে জেলার প্রান্তিক পর্যায়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত নারী উদ্যোক্তাদের তৈরী পণ্যে বিক্রয় হচ্ছে এখানে।
নকশিকাঁথা,পাটের তৈরি পণ্য, কাপড়, জামদানি শাড়ি, ছোট বাচ্চাদের জামা,পুঁতির তৈরি শোপিসসহ বিপুল পরিমাণ পণ্যের সমাহার। এ যেন নারীদের এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ়সঙ্কল্পের জানান দিচ্ছে। আর এই কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কুষ্টিয়া জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নূরে সফুরা ফেরদৌস। সেলসও ডিসপ্লে সেন্টারের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তাদের তৈরী নানা ধরনের বাহারি পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে এখানে। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে এ জেলায় নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। করোনাকালে নারী উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও করোনা পরবর্তী সময়ে নারীর সাফল্য পেয়েছেন। তাদের তৈরী নকশিকাঁথা,পাটের তৈরি পণ্য, কাপড়,জামদানি শাড়ি ও ছোট বাচ্চাদের জামা,পুঁতির তৈরি শোপিসসহ বিপুল পরিমাণ পণ্যে দেশসহ বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। আর তাদের সার্বক্ষণিক প্রশিক্ষণ ও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তু্লতে কাজ করছে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের কার্যালয়।
জেলার প্রান্তিক পর্যায়ের নারী উদ্যোক্তারা বলছে,সেলসও ডিসপ্লে সেন্টার এ বছর জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত নারী উদ্যোক্তাদের নিজের হাতে তৈরী নকশিকাঁথা,পাটের তৈরি পণ্য, কাপড়,জামদানি শাড়ি, ছোট বাচ্চাদের জামা, পুঁতির তৈরি শোপিসসহ বিভিন্ন ধরনের তৈরি সামগ্রীসহ বিপুল পরিমাণ পণ্যের সমাহার। বেচা-বিক্রিও ভালো। এ যেন নারীদের এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ়সঙ্কল্পের জানান দিচ্ছে। করোনাকালে নারী উদ্যোক্তারা ব্যবসায়ী ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও করোনা পরবর্তী সময়ে নারী উদ্যোক্তারা সাফল্য পেয়েছেন। তাই এমন আয়োজনের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তাদের তৈরী পন্যে বিক্রয় হলে লাভবান হবেন তারা। এ ক্ষেত্রে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আরও সহযোগিতা চান তারা।
নারী উদ্যোক্তা সালমা খাতুন বলেন,করোনাকালে ব্যবসা করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। করোনা পরবর্তী সময়ে ক্ষতি পোষানোর চেষ্টা করছি। কারও প্রতি নির্ভরশীল হয়ে বেঁচে থাকতে চাই না বরং নিজে উদ্যোক্তা হয়ে কাজ করতে চাই। আর আমার এই স্বপ্ন পুরণে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের কার্যালয়।
কুষ্টিয়ার জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নূরে সফুরা ফেরদৌস বলেন,কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামের দিক নিদর্শনায় ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে (আইজিএ) মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ঢাকা থেকে এ প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছে।সেলসও ডিসপ্লে সেন্টারের মাধ্যমে জেলার প্রান্তিক পর্যায়ের নারী উদ্যোক্তাদের তৈরী পণ্য বিক্রয় করতে সহযোগিতা করছি। সৃজনশীল যেকোন পরিকল্পনা নিয়ে আমাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে আমরা অবশ্যই সেটি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন,দেশের অর্থনীতিকে আরও এগিয়ে নিতে নারী উদ্যোক্তাদের কার্যক্রমে সহযোগিতা করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। করোনাকালে নারী উদ্যোক্তারা ব্যবসায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও করোনা পরবর্তী সময়ে নারী উদ্যোক্তারা সাফল্য পেয়েছেন। তাদের সরকারীভাবে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।