নাব্যতা হারিয়ে এখন ফসলের মাঠে পরিনত হয়েছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালী নদী। এতে হুমকির মুখে পড়েছে দেশিয় মৎস্য সম্পদসহ জীববৈচিত্র্য।
বেকার হয়ে পড়েছে নদী ঘিরে জীবিকা নির্বাহ করা মানুষ গুলো। সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়,উত্তর – দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হয়ে হরিনারায়ণ পুর ইউনিয়নে প্রবেশ করেছে কালীনদীটি।এরপর উত্তর- দক্ষিণ দিকে অতিবাহিত হয়ে শৈলকূপা থানার গাড়াগন্জ নামক স্থানটিতে কুমার নদীতে মিলিত হয়েছে।
সুধীজনেরা বলেন আগের কালি নদী আর এখনকার কালীনদী দেখলে মনেই হবে না এটি এক সময়ের প্রবাহমান ছিল। এখানে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সত্য বিশ্বাস বলেন, ভুগর্ভস্থ পানির স্তর ওপরিবেশর ভারসাম্য রক্ষায় নদীর বিকল্প নেই। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালী নদী ময়লা আবর্জনা জমে এবং বিভিন্ন জায়গায় বাধওপুকুর কাটার কারণে ভরাট হয়ে গেছে।
নদীর বুকে আবাদ হচ্ছে বিভিন্ন ফসল।নদীটি বাঁচাতে হলে এখনই খনন করতে হবে। পরিকল্পিত ভাবে খনন করা গেলে ফিরবে নদীর যৌবন।বাঁচবে প্রকৃতি ওপরিবেশ। নদীটি হারিয়ে যাওয়ায় নষ্ট হচ্ছে পরিবেশর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
১২ নং হরিনারায়ণ পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহেব মোঃ মেহেদী হাসান সম্রাট এর এ বিষয় নিয়ে কথা বললে একসময় নদীটি গভীর ছিল। তখন এখানে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া যেত।বর্তমানে দেশি মাছ আর চোখে পড়ে না।পানি না থাকায় কৃষকের পাশাপাশি জেলেরাও বিপদে পড়েছেন।