কুষ্টিয়া কুমারখালীতে নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতায় দুই স্থানে হামলা ভাংচুর লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকালে জগন্নাথপুর ইউনিয়ন ও শিলাইদহ ইউনিয়নে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় প্রায় ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের কুমারখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।
জানাযায়, শিলাইদহ ইউনিয়নে কল্যানপুর গ্ৰামে সাবেক ও নতুন মেম্বারের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এই সময় বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এই সময় ১টি মটরবাইক্ ভাংচুর করে হামলাকারীরা।
আবু হানিফ বলেন, পরাজিত মেম্বার মিরাজ সর্দারের লোকজন আমাদের একজন কে মারধর করে, ১ টি মটরবাইক্ ও একটি ঘর ভাংচুর করা হয়।
পরাজিত মেম্বার মিরাজ সর্দার বলেন, আবু হানিফের লোকজন আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই সময় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অপরদিকে উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চর জগন্নাথপুর গ্ৰামে ১ নং ওয়ার্ডে ইসলাম সর্দার ও কাশেম মেম্বার দুইজন পরাজিত মেম্বার প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে । এই সময় কাশেম মেম্বারের লোকজন ইসলাম সর্দার এর সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা বাড়িঘর ভাংচুর করে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন হানিফ সর্দার ও আয়ুব সর্দার নামে দুই জন আহত হয়েছেন।
পরাজিত মেম্বার ইসলাম সর্দার বলেন, আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে কাশেম মেম্বারের লোকজন এ সময় অস্ত্র দিয়ে গুলি করা হয় । হামলায় ৫/৬ টি ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে এবং গুলিবিদ্ধ হয় দুই জন। পরাজিত মেম্বার কাশেমের ছেলে জাফর শেখ বলেন, ইসলাম সর্দারের লোকজন নিজেদের ঘর নিজেরাই ভেঙ্গে আমাদের দোষ দিচ্ছে। আমরা কোন হামলা করিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আকুল উদ্দিন জানান, বেশ কয়েকজন আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গুলিবিদ্ধ ঘটনায় রিপোর্ট আসলে সব জানা যাবে।
কুমারখালী থানা অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, জগন্নাথপুর ইউনিয়ন ও শিলাইদহ ইউনিয়ন এলাকায় পরাজিত মেম্বার প্রার্থীদের মধ্যে হামলা ও ভাংচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।