বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
ভোট গ্রহনে অনিয়ন হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চাকুরী থাকবে না… নির্বাচন কমিশনার সাতক্ষীরা পৌর এলাকায় সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত ও বর্ধিত পানির বিল প্রত্যাহারের দাবীতে গণঅবস্থান কর্মসূচী গাবুরা ইউনিয়ন জলবায়ু সহনশীল ফোরামের অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে আমন মৌসুমে ১১৪৮০ কেজি ধানবীজ ও ৯১৮৪ কেজি সার বিতরণ করেছে লিডার্স ব্যাঙ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সাইক্লিং রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা ঝিনাইদহে বর্নাঢ্য আয়োজনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত কুষ্টিয়ায় ভেজাল কসমেটিকস কারখানায় র‍্যাবের অভিযান,দের লক্ষ টাকা জরিমানা হেশেল ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়ে দুই শিশুর মৃত্যু কুষ্টিয়ায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নয়, সরকার পতন মূল দাবি হওয়া উচিত: গয়েশ্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক / ২০০ বার পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২১, ৬:৫৮ অপরাহ্ন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমরা বিশ্বাস করি- খালেদা জিয়া জনগণের জন্যই বেঁচে থাকবেন। সুতরাং আমার মনে হয়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দাবির চেয়ে সরকারপতনই মূল দাবি হওয়া উচিত।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য মানবিক আবেদনের চ্যাপ্টার ক্লোজ করা দরকার বলে মনে করেন বিএনপির এই প্রভাবশালী নেতা। তিনি বলেন, আজকের পত্রপত্রিকায় বলা হয়েছে- খালেদা জিয়া যদি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চান, তাহলে মানবিক বিবেচনা করা হবে। ক্ষমা চাইলেই রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করবেন কি করবেন না, সেটা বলা যায় না। আবার ক্ষমা করতেও পারেন। এই ফ্যাসিস্ট সরকার যে দানবের মতো, তারা মানবিক হবে- সেটা প্রত্যাশা করি কী করে?

শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সম্মিলিত ছাত্র যুব ফোরামের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ প্রেরণ ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাজিব আহসানের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর বলেন, দেশের একজন সাধারণ মানুষেরও চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার আছে। কারণ রাষ্ট্রের মৌলিক অধিকারগুলোর মধ্যে চিকিৎসা একটি। পৃথিবীর এমন কোনো দেশ কোনটি আছে— যেখানে চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাতে হয়!

বাংলাদেশে ন্যায়বিচার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, ফাঁসির আসামিকেও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। এটি সরকারের দায়িত্ব। ফাঁসি দেওয়ার আগ মুহূর্তে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।

তিনি বলেন, বিচার তখনই চাওয়া যায়, যখন ন্যায়বিচার পাওয়ার সুযোগ থাকে। কিন্তু এখন বাংলাদেশে ন্যায়বিচার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সরকার ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দুটো এক হয়ে গেছে।

সরকার যেন খালেদা জিয়ার বাড়িকে সাবজেল ঘোষণা করে- এমন মন্তব্যও করেন বিএনপির এই নীতিনির্ধারক। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথায় একটা জিনিস পরিষ্কার। তিনি বলেছেন- ‘আমার যতটুকু ক্ষমতা ছিল ততটুকু ক্ষমতা দিয়ে তাকে (খালেদা জিয়া) জেলখানা থেকে বাড়িতে রেখেছি’। আমি সরকারের উদ্দেশে বলব, আপনি যদি জেলখানার পরিবর্তে খালেদা জিয়াকে বাড়িতে ডাম্পিং করে থাকেন, তাহলে খালেদা জিয়ার বাড়িটাকে সাবজেল ঘোষণা করেন।

এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দলটির এই শীর্ষ নেতা বলেন, আমাদের যাদের বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার অবস্থা আছে তাদের শপথ করা উচিত- আমার নেত্রী যদি চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না পারে, তাহলে আমরাও কখনো যাব না। দরকার হলে মরে যাব।
সম্মিলিত ছাত্র যুব ফোরামের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নাহিদুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন— বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল প্রমুখ।

সূত্র: যুগান্তর


এ জাতীয় আরো খবর ....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Translate »
error: Content is protected !!
Translate »
error: Content is protected !!