মেহেরপুরের গাংনীর পশ্চিম মালসাদহ হোসেন ফিলিং স্টেশনে পেট্রোলে পানি মেশানোর অভিযোগে ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড করেছে ভ্রাম্যামান আদালত।
মঙ্গলবার সকালে ভ্রাম্যামান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাজমুল হোসেন এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
এর আগে পেট্রোল পাম্প মালিকের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে ভুক্তভুগীরা।
চেংগাড়া গ্রামের রাকিবুল ইসলাম জানান,তিনি মঙ্গলবার সকালে মোটরসাইকেল ৫শ’ টাকার পেট্রোল নেন। পেট্রোল নেওয়ার কয়েক শ’ মিটার যাওয়ার পর স্টার্ট বন্ধ হয়ে যায়। পরে তেলের লাইন খুলে দিলে পানি বের হতে থাকে।
পশ্চিম মালসাদহ গ্রামের মিলন হোসেন বলেন,তিনি ৯শ’৮০ টাকা তেল নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল বন্ধ হয়ে যায়। পরে প্লাগ পরিস্কার করেও স্টার্ট না হওয়ায় মিস্ত্রির কাছে নিলে পেট্রোলের সাথে পানি বের হতে থাকে।
ভোমরদাহ গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বলেন,তিনি ৫শ’ টাকার পেট্রোল নিয়ে কিছুদুর যাওয়ার পর মোটরসাইকেল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ট্যাংকিতে থাকা তেল বের করার সময় পেট্রোল মিশ্রিত পানি বের হতে থাকে। এছাড়া মোটরসাইকেল মালিকরা ক্ষতিপুরন দাবি করার পাশাপাশি দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানান।
ভ্রাম্যামান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাজমুল আলম বলেন,পেট্রোলে পানি মেশানোর ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। মালিকপক্ষ ঘটনার পরবর্তীতে এ ধরনের ঘটনা আর যেন না ঘটে তার প্রতিশ্রতি দিয়েছে। তবে অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় ভোক্তাঅধিকার আইনে পেট্রোল মালিককে ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে দুই মাসের কারাদান্ডের নির্দেশ দেন। পরে পেট্রোলপাম্প মালিক ১ লাখ টাকা পরিশোধ করেন।