শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৯:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
ভোট গ্রহনে অনিয়ন হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চাকুরী থাকবে না… নির্বাচন কমিশনার সাতক্ষীরা পৌর এলাকায় সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত ও বর্ধিত পানির বিল প্রত্যাহারের দাবীতে গণঅবস্থান কর্মসূচী গাবুরা ইউনিয়ন জলবায়ু সহনশীল ফোরামের অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে আমন মৌসুমে ১১৪৮০ কেজি ধানবীজ ও ৯১৮৪ কেজি সার বিতরণ করেছে লিডার্স ব্যাঙ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সাইক্লিং রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা ঝিনাইদহে বর্নাঢ্য আয়োজনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত কুষ্টিয়ায় ভেজাল কসমেটিকস কারখানায় র‍্যাবের অভিযান,দের লক্ষ টাকা জরিমানা হেশেল ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়ে দুই শিশুর মৃত্যু কুষ্টিয়ায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি

ঝিনাইদহ কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ

সালাম হোসেন,ঝিনাইদহ / ১৯২ বার পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২২, ৭:৫৮ অপরাহ্ন

ঝিনাইদহ কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে(এটিআই) বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ একটি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে।গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে অনিয়মের
মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের জমি লিজ দিয়ে সেই জমিতে থাকা আনুমানিক ৩০-৪০ লক্ষ টাকার গাছ র্কতন করে বিক্রিসহ বিভিন্ন খাতে বিভিন্ন মেয়াদে কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ঠ বিভিন্ন ব্যক্তি।গত ২৯ ডিসেম্বর সকালে প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে ট্রলিতে করে গাছের লগ ও ক্ষড়ি চুরি করে সরানোর ও নিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধরা পড়ে।খোঁজ নিয়ে জানাযায়,উক্ত প্রতিষ্ঠানের, উপ-সহকারী প্রশিক্ষক শাহীন
রেজা স্যার নিজেই ক্যাম্পাসের উত্তর পাশের প্রায় আড়াই একর জমি বরাদ্দ নিয়েছেন চাষের জন্য। সেই জমিতে থাকা বিভিন্ন বনজ গাছ কেটে বিক্রি করেছেন লগ ও খড়ি হিসাবে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিষ্ঠানের অন্য কর্মকর্তা- কর্মচারীরা অভিযোগ করেছেন,সর্ম্পূণ গোপনে এই জমি শাহীন রেজাকে বরাদ্দ দিয়েছেন। অন্য কাউকে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়নি।এই জমিতে থাকা,
মেহগনি,এপিল,এপিল,কড়ইসহ বিভিন্ন প্রকারের গাছ ছিল যা তিনি মেরে বিক্রি করে দিয়েছেন।খোঁজ নিয়ে জানাগেছে,এই প্রতিষ্ঠানে সুজন মজুমদার ভারপ্রাপ্ত হলেই এই সেন্টিগ্রেড বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে।তিনি এর আগেও বিভিন্ন মেয়াদে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব করেছেন।তার এই দায়িত্বপালনকালে উপবৃত্তি,মাছ বিক্রি,গরু বিক্রি,হোস্টেলে সিট বাণিজ্য করে হাতিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।বর্তমানে তিনি
পিআরএল’এ রয়েছেন।জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই তিনি অবসরে যান, তার পরে একই সেন্টিগ্রেড সদস্য দেবানন্দো বিশ্বাস ভারপ্রাপ্ত হলে কাজ আরো সহজ হয়ে যায়,খতিয়ে দেখার কেউ না থাকাই,সব পানির মতো সহজ হয়ে যায় সব অপকর্ম । সেই কারণে নিয়ম বর্হিভূতভাবে টাকা হাতিয়ে নিয়ে সরে পড়তে চান এমন বক্তব্য অন্যান্যদের।এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,কোন
অনিয়মের মাধ্যমে জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।গত জুন মাসে মিটিংয়ে এই বরাদ্দ দেওয়া হয়।তখন অধ্যক্ষ
ছিলেন বিনয় কুমার।বছর শেষ হওয়ার মাত্র ২ দিন আগে কেন জমির গাছ কাটতে শুরু করলেন জুনের পরপরই না কেটে?এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন,ওখানে তেমন কোন গাছ ছিল না। যা ছিল তা দিয়ে লেবার খরচই হয় না।এদিকে এই প্রতিষ্ঠানের একাধিক শ্রমিক অভিযোগ করেছেন,সুজন মজুমদার শ্রমিকদের পোশাক বাবদ বরাদ্দের টাকাও মেরে দিয়েছেন।তিনি পুকুর থেকে আড়াই লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেছেন,৮টি গরু বিক্রি করেছেন যার দাম প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা। কিন্তু এই সমস্ত টাকা সরকারি ফান্ডে জমা দেননি।জমি বরাদ্দ,গাছ কাটা কাজগুলোর রেগুলেশনে দেখতে প্রতিষ্ঠানে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি।এছাড়াও শিখি করি
খায় প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানে এমনটায় জানিয়েছেন বিভিন্ন শিক্ষক-র্কমচারিরা।এই সকল অনিয়মের মূলহোতা সুজন মজুমদার ও সহযোগী বেবানন্দো বিশ্বাস,তিনি বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আছেন,বলেই জানিয়েছেন বিক্ষুদ্ধ র্কমচারিরা।


এ জাতীয় আরো খবর ....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Translate »
error: Content is protected !!
Translate »
error: Content is protected !!