মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ১১:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
ভোট গ্রহনে অনিয়ন হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চাকুরী থাকবে না… নির্বাচন কমিশনার সাতক্ষীরা পৌর এলাকায় সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত ও বর্ধিত পানির বিল প্রত্যাহারের দাবীতে গণঅবস্থান কর্মসূচী গাবুরা ইউনিয়ন জলবায়ু সহনশীল ফোরামের অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে আমন মৌসুমে ১১৪৮০ কেজি ধানবীজ ও ৯১৮৪ কেজি সার বিতরণ করেছে লিডার্স ব্যাঙ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সাইক্লিং রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা ঝিনাইদহে বর্নাঢ্য আয়োজনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত কুষ্টিয়ায় ভেজাল কসমেটিকস কারখানায় র‍্যাবের অভিযান,দের লক্ষ টাকা জরিমানা হেশেল ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়ে দুই শিশুর মৃত্যু কুষ্টিয়ায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি

পীরগঞ্জে শীতে ফুটপাতের দোকানে বাড়ছে ভিড়, বেড়েছে বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক / ২০৭ বার পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২২, ১০:১৭ পূর্বাহ্ন

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। আর সেই সাথে বেড়েছে গরম কাপড়ের চাহিদা। অনেকে এখন শীতবস্ত্রের কেনাকাটা শুরু করেছেন। শহরের ফুটপাতে পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে বাড়ছে ভিড় জমে উঠেছে বেচা বিক্রি ।

এদিকে শীতের প্রস্তুতি হিসেবে পীরগঞ্জ উপজেলার পৌরসভার ফুটপাতও এখন শীতবস্ত্র বিক্রেতাদের দখলে। ক্রেতাও প্রচুর। রেল লাইনের দুপাশে, ঢাকাইপট্টি মার্কেটের দক্ষিণ পাশে, মেইন সড়কে দুপাশে সহ প্রায় সব এলাকায় শীতবস্ত্রের বিক্রি বেড়েছে। বেশি বিক্রি হচ্ছে ছোট বাচ্চা ও বয়স্কদের কাপড়। মাথার টুপি, পায়ের মোজা, হাতমোজা, মাফলার, সোয়েটার, জাম্পার, ফুলহাতা গেঞ্জি ইত্যাদি।

কম্বলের দোকান গুলোতে ভিড় চোখে পড়ার মতো। ফুটপাতে ভিড় করা ক্রেতারা বলছেন, শীতের শুরুতে কেনা পোশাক এ তীব্র শীতে কোনো কাজে লাগছে না। তাই তারা আবার ছুটছেন কনকনে শীত থেকে বাঁচতে পারেন এমন পোশাকের সন্ধানে। আর ক্রেতাদের এ চাহিদাকে পুঁজি করে বিক্রেতারা দাম হাঁকাচ্ছেন কয়েকগুণ বেশি।
শীতের তীব্রতা বাড়ায় জমে উঠেছে দোকানগুলো। কিন্তু গত বছরের তুলনায় এবার দাম একটু বেশি। তিন থেকে ৪’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এসব গরম কাপড়। শীত বাড়লে দাম আরও বাড়বে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ফুটপাতের এসব দোকানের বেশির ভাগ ক্রেতাই দরিদ্র। তাদের অধিকাংশই দিন আনে দিন খায়। তবে অনেক সময় উচ্চবিত্ত ক্রেতাদেরও দেখা মেলে এসব দোকানে।

গরম কাপড় কিনতে আসা ক্রেতা আলী হোসেন বলেন, শীতের ‘ফ্যাশনের দরকার নাই। শীত থেকে বাচাঁর জন্য ভারি সোয়েটার লাগবে। পড়ে থাকা এসব হালকা-পাতলা সোয়েটারে শীত জাচ্ছে না।’ অস্বাভাবিক দাম হাঁকানোর অভিযোগ তুলেন ক্রেতা আলী। তবে অনেকটা অসহায়ের মতোই দোকানির চাওয়া দামেই কিনে নেন ৩৩০ টাকা দিয়ে পছন্দের একটি সোয়েটার।

ফুটপাতের হকার নুর আলী কম্বল বিক্রি করেন। তিনি জানান, গত কয়েকদিন যাবৎ প্রতিদিন গড়ে ২৫ থেকে ৩০টি কম্বল বিক্রি হয়। পাতলা কম্বল বিক্রি হয় না বললেই চলে। এদিকে পূর্বের তুলনায় কম্বলের দাম আকাশচুম্বী বলে দাবি করেছেন পৌরশহরের মানিক। তিনি বলেন, কমপক্ষে তিন সপ্তাহ আগে তিনি এক হাজার ৬৮০ টাকায় একটি কম্বল কিনেছিলেন। সেই কম্বলই তিন হাজার ৫০০ টাকা দাম হাঁকিয়ে বসে আছে দোকানি। অনেক অনুরোধ করায় সে দুইশ’ টাকা কমিয়ে তিন হাজার ৩০০ টাকায় এসেছে।

গতকাল ঢাকাই পট্টি মার্কেটে শীতের জামা কিনতে যান গৃহবধূ রোজিনা বেগম। সঙ্গে ১৩ বছরের মেয়ে জেমি। শীতের শুরুতে কিছু পোশাক কেনা হয়েছে। কিন্তু শীতের তীব্রতায় ওই পোশাক কোনো কাজে লাগছে না। রোজিনা আরও বলেন, দোকানে দোকানে ক্রেতার ভিড় প্রচুর। আর এ সুযোগে বিক্রেতাও দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। কয়েকদিন আগেও যে কাপড় ৪০০/৫০০ টাকায় ছিল, এখন তা হাজার টাকার কমে দিতেই চাইছে না বিয়ক্রেতা।ব্যবসায়ীরা বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করলেও গত কয়েকদিন যাবৎ দাম একটু বেশিই বলে স্বীকার করেন একাধিক বিক্রেতা। তারা বলছেন বর্তমানে শীতের কাপড়ের চাহিদা অনেক বেশি। পুরাতন কাপড়ের বেল কেনা হতো যে দামে, এ বছর তার দাম বেড়েছে অনেক। বেলের ভেতর অনেক কাপড় আবার নষ্ট থাকে। এসব কারণে এবার গরম কাপড়ের দাম একটু বেশি।


এ জাতীয় আরো খবর ....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Translate »
error: Content is protected !!
Translate »
error: Content is protected !!