রাজধানীর সবুজবাগে এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার গভীর রাতে সবুজবাগের কদমতলার খালপাড় এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের নাম জহির মুন্সি। তিনি পেশায় চা দোকানদার।
এ ঘটনায় নাজমুল হোসেন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সবুজবাগ থানার উপপরিদর্শক এসআই মনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, জহিরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ডটি হতে পারে। নাজমুল ও জহির একসঙ্গে থাকার সময় এ বিরোধের শুরু হয়। সেখান থেকেই নাজমুল হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়ে থাকতে পারেন।
হত্যার পর স্থানীয় লোকজন নাজমুলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
জহিরের ভগ্নিপতি আবদুল মতিন বলেন, দুই বছর আগে একই বাসায় ভাড়া থাকতেন জহির ও নাজমুল। অন্য জায়গায় চাকরি হওয়ায় বাসা ভাড়ার সাত হাজার টাকা না দিয়েই অন্যত্র চলে যান নাজমুল। সেই টাকা পরিশোধ করেন জহির। তিন দিন আগে নাজমুলের সঙ্গে দেখা হলে টাকা চান জহির। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। শুক্রবার রাতে জহির চায়ের দোকান থেকে বের হলে নাজমুল তাকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা বোনজামাই আলমগীর পালিয়ে যান।
তিনি আরও বলেন, পাঁচ বছর আগে জহিরের স্ত্রী বিউটির সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। ২৭ নভেম্বর আবার বিয়ে করে জহির। জহির চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার সাকুয়া গ্রামে মোকলেছ মুন্সির ছেলে। কদমতলা সি/১৮ হক আবাসিক সোসাইটিতে পরিবার নিয়ে থাকতেন।
সূত্র: যুগান্তর