শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০১:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
ভোট গ্রহনে অনিয়ন হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চাকুরী থাকবে না… নির্বাচন কমিশনার সাতক্ষীরা পৌর এলাকায় সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত ও বর্ধিত পানির বিল প্রত্যাহারের দাবীতে গণঅবস্থান কর্মসূচী গাবুরা ইউনিয়ন জলবায়ু সহনশীল ফোরামের অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে আমন মৌসুমে ১১৪৮০ কেজি ধানবীজ ও ৯১৮৪ কেজি সার বিতরণ করেছে লিডার্স ব্যাঙ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সাইক্লিং রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা ঝিনাইদহে বর্নাঢ্য আয়োজনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত কুষ্টিয়ায় ভেজাল কসমেটিকস কারখানায় র‍্যাবের অভিযান,দের লক্ষ টাকা জরিমানা হেশেল ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়ে দুই শিশুর মৃত্যু কুষ্টিয়ায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি

রোহিঙ্গা নেতা আমীনের পুঁতে রাখা লাশ উদ্ধার, গ্রেফতার ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক / ১৬০ বার পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : রবিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ১০:২০ পূর্বাহ্ন

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় অপহরণের প্রায় ১১ মাস পর রোহিঙ্গা নেতা সৈয়দ আমীনের পুঁতে রাখা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে এফডিএমএন ক্যাম্প ১৪-এর প্রাক্তন মাঝি ইয়াকুবের পরিত্যক্ত ঘরের মেঝে খুঁড়ে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত সৈয়দ আমীন (৪০) টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ২১ নম্বর চাকমারকূল রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের সি-৪ ব্লকের মুছা আলীর ছেলে। তিনি চাকমারকূল ২১ নম্বর শিবিরের সি-৪ ব্লকের সাব-মাঝি (সহকারী কমিউনিটি নেতা) ছিলেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে এ ঘটনায় হাকিমপাড়া ই/৩ ব্লকে মাঝি ও ভলান্টিয়ারদের সমন্বয়ে ব্লকরেইড পরিচালনা করে তিনজন এফডিএমএন দুষ্কৃতকারীকে আটক করা হয়।

আটকরা হলো— উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ১৪ নম্বর হাকিমপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরের ই-৩ ব্লকের বাসিন্দা মো. সালামের ছেলে মোহাম্মদ ইসলাম (২২), শিবিরের একই ব্লকের মো. কাশেমের ছেলে আব্দুল মোনাফ (২৬) ও মোহাম্মদ সালামের ছেলে মো. ইলিয়াস (২৮)।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, এ বছর জানুয়ারি মাসে চাকমারকূল ক্যাম্প ২১-এর সি/৪ ব্লকের (সাবেক এম ব্লক) সাব-মাঝি সৈয়দ আমীনকে অপহরণ করে ক্যাম্প-১৪ তে নিয়ে আসে তারা। অপহরণের পর ভিকটিমের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ হিসেবে ৮০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। দুষ্কৃতকারী শুক্কুরের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন মিলে সৈয়দ আমীনকে হত্যা করে ক্যাম্প ১৪-এর প্রাক্তন মাঝি ইয়াকুবের পরিত্যক্ত ঘরের মেঝেতে লাশ পুঁতে রাখা হয়।

এসব তথ্য পেয়ে শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ক্যাম্প ১৪-এর সিআইসিসহ থানা পুলিশের উপস্থিতিতে ইয়াকুব মাঝির ঘর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। অপহৃত মৃত সৈয়দ আমীনের লাশ পরনে থাকা কাপড়, বেল্ট ও মাথার চুল দেখে শনাক্ত করেন তার স্ত্রী হাসান বশরী।

তিনি আরও জানান, গত ১৭ জানুয়ারি বিকাল ৪টার দিকে চাকমারকূল ক্যাম্প ২১-এর এফডিএমএন দুষ্কৃতকারী সাহাব উদ্দিন (ঘর নং-৮২), আনোয়ার (আরসার হেড জিম্মাদার), আনোয়ার ফারুক ও সাদেক ভিকটিম সৈয়দ আমীনকে মুখ বেঁধে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

৮-এপিবিএনের অধিনায়ক মোহাম্মদ সিহাব কায়সার খান জানান, ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে এফডিএমএন ক্যাম্প-১৪ হাকিমপাড়া ই/৩ ব্লকে মাঝি ও ভলান্টিয়ারদের সমন্বয়ে ব্লকরেইড পরিচালনা করে তিন এফডিএমএন দুষ্কৃতকারীকে আটক করা হয়।

তার স্ত্রী হাসান বশরী লাশের পরনে থাকা কাপড়, বেল্ট ও মাথার চুল দেখে ‘তার স্বামীর লাশ বলে শনাক্ত করে। দীর্ঘ দিন পর অপহৃত সৈয়দ আমীনের লাশ পেয়ে এফডিএমএন সদস্যদের মধ্যে স্বস্তি এসেছে।

উল্লেখ্য, ৮ এপিবিএন পুলিশের তৎপরতায় স্থানীয় রোহিঙ্গা ও ভলান্টিয়ারদের সমন্বয়ে রাত্রিকালীন পাহারা জোরদার করার কারণে সন্ত্রাসী রোহিঙ্গারা একের পর এক গ্রেফতার হওয়ায় ক্যাম্প এলাকায় আইনশৃঙ্খলা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনের ঘটনাটি এফডিএমএন এলাকায় প্রথম ঘটনা।

সূত্র:যুগান্তর


এ জাতীয় আরো খবর ....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Translate »
error: Content is protected !!
Translate »
error: Content is protected !!