শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৮:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
ভোট গ্রহনে অনিয়ন হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চাকুরী থাকবে না… নির্বাচন কমিশনার সাতক্ষীরা পৌর এলাকায় সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত ও বর্ধিত পানির বিল প্রত্যাহারের দাবীতে গণঅবস্থান কর্মসূচী গাবুরা ইউনিয়ন জলবায়ু সহনশীল ফোরামের অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে আমন মৌসুমে ১১৪৮০ কেজি ধানবীজ ও ৯১৮৪ কেজি সার বিতরণ করেছে লিডার্স ব্যাঙ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সাইক্লিং রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা ঝিনাইদহে বর্নাঢ্য আয়োজনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত কুষ্টিয়ায় ভেজাল কসমেটিকস কারখানায় র‍্যাবের অভিযান,দের লক্ষ টাকা জরিমানা হেশেল ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়ে দুই শিশুর মৃত্যু কুষ্টিয়ায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি

সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে স্কুলের টাকা আত্মসাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৩৩৫ বার পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : বুধবার, ৬ অক্টোবর, ২০২১, ৭:০০ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়ায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে চেকের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে স্লিপের টাকা উঠিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা খাতুনের বিরুদ্ধে। হোসনে আরা খাতুন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের ৬৪নং কাজিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। শুধু তাই নয়,বিদ্যালয়ের আঙিনায় ফুলের বাগান নির্মাণসহ নানান অবকাঠামো উন্নয়নের বরাদ্দের কাজের অর্থ নয়ছয়ও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এর আগেও প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা খাতুন এ ধরনের কাজ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দফতরে জানানো হলে বিচারের আশ্বাস দেয়া হলেও প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা খাতুনের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসী।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে,২০১৯ সালে বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেন রাশেদুল ইসলাম। সেই কমিটির মেয়াদ শেষ হয় ওই বছরের শেষের দিকে। অথচ তারই চেক জালিয়াতি করে স্কুলের ব্যাংক একাউন্ট থেকে মোটা অংকের অর্থ তুলে নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা খাতুন। জুনিয়ারি এবং আগস্ট মাসে জাল স্বাক্ষর করে চেকের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে স্লিপ ফান্ডের টাকা উত্তোলন করেছেন তিনি। বিদ্যালয়ে নানান অবকাঠামো উন্নয়ন বরাদ্দের কাজের অর্থ নয়ছয় করার অভিযোগ রয়েছে তারা বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ করলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকেও দেয়া হয় হুমকি।

বিদ্যালয়টির সাবেক সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বলেন, ২০১৯ সালে আমার কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। অথচ আমার নাম ব্যবহার করে স্বাক্ষর জাল করে চেকের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে স্লিপ ফান্ডের টাকা উত্তোলন করেছেন প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা খাতুন। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে উল্টো আমাকে হুমকি দিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা। বিষয়টি আমি নিজেই শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছি। তিনি বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

বিদ্যালয়টির বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জামাল উদ্দিন বলেন, স্কুলের উন্নয়নে কত টাকা খরচ হয়েছে তা জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা খাতুন টাকা হিসেবে মিল দেখাতে পাচ্ছেন না। আমি নিজে ব্যাংকে গিয়ে দেখে আসছি স্বাক্ষর জাল করে প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা খাতুন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক সভাপতি রাশেদুলের চেকের মাধ্যমে স্লিপ ফান্ডের টাকা তুলে তা আত্মসাৎ করেছেন। এরপর টাকা আত্মসাতের বিষয়টি প্রকাশ পায়। প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা খাতুনের কঠোর বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা খাতুন বিষয়টি স্বীকার করে বলেন,এ কাজটি আমি করেছি। তবে এ নিয়ে কোনো সংবাদ না করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।

দৌলতপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সায়েদা সিদ্দিকা বলেন,বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। সবাইকে নিয়ে বসে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


এ জাতীয় আরো খবর ....
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Translate »
error: Content is protected !!
Translate »
error: Content is protected !!