কক্সবাজারের চকরিয়ায় জন্মসনদ দিতে দেরি হওয়ায় নবনির্বাচিত ইউপি মেম্বারের নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ইউপি সচিব, গ্রাম পুলিশ ও উদ্যোক্তাসহ ৫ আহত হয়েছেন। বুধবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ডুলাহাজারা ইউপি সচিব মো. হুমায়ুন কবির (৪০), ২নং ওয়ার্ড গ্রাম পুলিশ মো. নাসির উদ্দিন (২৯), মো. রুবেল (২৫), আশরাফ উদ্দিন (৩৫) ও উদ্যোক্তা শাহারিয়া খান (৩৫)। আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী মেম্বার ওয়াহিদা সুলতানা হাসিনা বলেন, দুপুর ১টার দিকে সচিব নিজ কার্যালয়ে বসে কাজ করছিলেন। এ সময় অতর্কিতভাবে নবনির্বাচিত ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার রমজান আলীর নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন লোক লাঠিসোটা নিয়ে প্রথমে গ্রাম পুলিশ নাসির উদ্দিনকে বেধড়ক মারধর করে। এ সময় তাদের বাধা দিলে অপর দুই গ্রাম পুলিশ ও শাহরিয়ার খানকেও মারধর করে তারা। পরে ইউপি সচিবের কার্যালয়ে প্রবেশ করে হুমায়ন কবিরকেও মারধর করে ও সেখানে ভাঙচুর চালায়।
ইউপি সচিব হুময়াযুন কবির বলেন, ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের রাবিয়া বেগম তার মেয়ে হুমায়রা বেগমের জন্ম নিবন্ধনের জন্য ইউপি কার্যালয়ে আসেন। তার জন্ম নিবন্ধন না থাকায় তাকে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে ভর্তি রেজিষ্ট্রার ফটোকপি নিয়ে আনার জন্য বলা হয়। তিনি যথারীতি ভর্তি রেজিষ্ট্রারের ফটোকপি সত্যায়িত করে দিলেও তাতে জন্ম তারিখ উল্লেখ নেই। এই কাগজ নিয়ে জন্ম সনদ দেওয়া যাবে না বলেছি তাকে।
পরে নবনির্বাচিত ইউপি মেম্বার রমজান আলীকে এ বিষয়ে জানায় হুমায়রার মা। এরপর তার নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন লোক লাঠিসোটা নিয়ে পরিষদে হামলা চালায়। এ সময় ৩ গ্রাম পুলিশ, উদ্যোক্তা ও আমাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
এ বিষয়ে ইউপি মেম্বার রমজান আলী বলেন, জন্মসনদ দিতে গড়িমসির বিষয়ে ইউপি সচিবের রুমের কাছে গেলে সেখানে দায়িত্বরত গ্রাম পুলিশের সঙ্গে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে মাত্র। সেখানে আমার সামনে সচিবের ওপর হামলা হয়নি।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত ইউপি সচিব, গ্রাম পুলিশ ও উদ্যোক্তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
সূত্র: যুগান্তর